ফরাসি কাপের ম্যাচে খেলতেই পারলেন না মেসি। ছবি: রয়টার্স
ফরাসি কাপের শেষ ষোলো থেকেই বিদায় নিল প্যারিস সঁ জরমঁ। আবার ব্যর্থতার মুখে লিয়োনেল মেসি, নেমারের ক্লাব। বুধবার রাতে মার্সেইয়ের কাছে ১-২ ব্যবধানে হেরে গেল পিএসজি। প্রায় এক দশক পর ঘরের মাঠে পিএসজি-র বিরুদ্ধে জয় পেল মার্সেই। অন্য দিকে, মরক্কোর রাবাতে আল আহলিকে অনায়াসে ৪-১ হারিয়ে ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠে গেল রিয়াল মাদ্রিদ।
শেষ বার ঘরের মাঠে ২০১১-য় পিএসজি-কে হারিয়েছিল মার্সেই। বুধবার শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলতে থাকে তারা। মেসি, নেমাররা দাঁত ফোটানোর জায়গা পাননি। অ্যালেক্সিস স্যাঞ্চেস প্রথমার্ধে এগিয়ে দেন মার্সেইকে। সংযুক্তি সময়ে সমতা ফেরান সের্জিয়ো রামোস। দ্বিতীয়ার্ধে জয়সূচক গোল রুসলান মালিনোভস্কির।
চলতি মরসুমে এটা পিএসজি-র তৃতীয় হার। তার থেকেও বড় ব্যাপার, কিছু দিন পরেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বায়ার্ন মিউনিখ খেলতে আসতে পারে প্যারিসে। তার আগে মেসিদের এই হার মোটেই স্বস্তিতে রাখবে না। ইগর টুডোরের মার্সেই শুরু থেকে যে ভাবে মেসি, নেমার-সমৃদ্ধ দলকে ব্যতিব্যস্ত করে রেখেছিল, তাতে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন অনেকেই। মেসিকে প্রায় নিষ্প্রভই লেগেছে। নেমারের দূরপাল্লার একটি শট পোস্টে লাগে। চোটের কারণে কিলিয়ান এমবাপে না থাকার অভাব ভুগতে হল পিএসজি-কে।
এ দিকে, মিশরের ক্লাব আল আহলিকে ৪-১ উড়িয়ে ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে যেতে অসুবিধা হল না রিয়াল মাদ্রিদের। প্রথমার্ধে রিয়ালকে ২-০ এগিয়ে দেন ভিনিসিয়াস এবং ফেদেরিকো ভালভার্দে। দ্বিতীয়ার্ধে গোল করেন রদ্রিগো এবং সের্জিয়ো আরিবাস। শনিবার ফাইনালে রিয়াল খেলবে সৌদি আরবের আল হিলালের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার অপর সেমিফাইনালে ব্রাজিলের ফ্ল্যামেঙ্গোকে ৩-২ হারিয়েছে আল হিলাল।
মোট সাত বার ক্লাব বিশ্বকাপ জিতেছে রিয়াল। এই রেকর্ড কারওর নেই। শেষ বার তারা ২০১৮ সালে এই প্রতিযোগিতায় জেতে। তবে ক্লাব বিশ্বকাপে করিম বেঞ্জেমা-সহ ছ’জন প্রথম সারির ফুটবলার চোটের কারণে খেলছেন না।