অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে লজ্জার নজির রোহিতদের। ছবি: পিটিআই
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় এক দিনের ম্যাচে বিরাট লজ্জার মুখে ভারত। ১০ উইকেটে হেরে গেল তারা। প্রথমে ব্যাট করে ১১৭ রানের বেশি তুলতে পারল না দল। ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে এটাই তাদের সর্বনিম্ন স্কোর। আগে কোনও দিন অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে এত লজ্জার মুখে পড়তে হয়নি ভারতকে।
অতীতে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে ভারতের সর্বনিম্ন স্কোর ছিল ১৪৮। ২০০৭ সালে বরোদা ম্যাচে এই জিনিস দেখা গিয়েছিল। সব মিলিয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে এক দিনের ক্রিকেটে এটি তৃতীয় সর্বনিম্ন স্কোর। ১৯৮১ সালে সিডনিতে ৬৩ রানে অলআউট হয়েছিল তারা। সেটাই ছিল তাদের সর্বনিম্ন স্কোর। তার পরে সেই সিডনিতেই ১০০ রানে শেষ হয়ে গিয়েছিল ভারতের ইনিংস। এর পরেই রয়েছে বিশাখাপত্তনম।
গত কয়েক দিন বৃষ্টি হয়েছে বিশাখাপত্তনমে। রবিবারও সকাল থেকে মেঘলা ছিল আকাশ। সমুদ্রের পাশের শহরে বইছিল হালকা ঠান্ডা বাতাসও। জোরে বোলিংয়ের আদর্শ পরিবেশ পেয়ে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং নিতে দু’বার ভাবেননি অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ। তাঁর সিদ্ধান্ত কতটা সঠিক ছিল তা প্রথম ওভারেই বুঝিয়ে দেন মিচেল স্টার্ক। তৃতীয় বলেই আউট করেন শুভমন গিলকে (শূন্য)। প্রথম ধাক্কা সামলে দলকে লড়াইয়ের ফেরানোর চেষ্টা করলেন রোহিত এবং বিরাট কোহলি। অস্ট্রেলীয় বোলারদের চাপে রাখতে আগ্রাসী ব্যাটিং শুরু করেন তাঁরা।
কিন্তু উইকেট থেকে অনেক বাইরের বলে খোঁচা দিয়ে আউট হন রোহিত (১৩)। ভারত অধিনায়কের উইকেট পেয়ে আরও বিপজ্জনক হয়ে ওঠেন স্টার্ক। বাঁহাতি জোরে বোলার পরের বলেই সাজঘরে ফিরিয়ে দেন সূর্যকুমার যাদবকে (শূন্য)। পর পর দু’টি এক দিনের ম্যাচে প্রথম বলেই আউট হন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বিশ্বের এক নম্বর ব্যাটার। স্টার্কের হ্যাটট্রিকের সুযোগ নষ্ট করে দেন লোকেশ রাহুল। মুম্বইয়ে ম্যাচ জেতানো রাহুলও (৯) দলের ইনিংসের হাল ধরতে পারলেন না। তিনিও স্টার্কের শিকার।
ভারতীয় ব্যাটিং লাইন আপের মাথা কেটে দলকে চালকের আসনে বসিয়ে দেন স্টার্ক। কোণঠাসা ভারতীয় দল আর ঘুরে দাঁড়াতে পারল না। দ্রুত আউট হলেন প্রথম ম্যাচের অধিনায়ক হার্দিক পাণ্ড্যও (১)। তাঁকে আউট করলেন শন অ্যাবট। উইকেটের অন্য প্রান্তে তখন সঙ্গীর অভাবে অসহায় কোহলি (৩১) আউট হয়ে গেলেন নাথান এলিসের বলে। দলকে লজ্জার হাত থেকে বাঁচানোর চেষ্টা করলেন দুই বাঁহাতি অলরাউন্ডার রবীন্দ্র জাডেজা এবং অক্ষর পটেল।
চাপের মুখে জাডেজা ১৬ রান করতে নিলেন ৩৯ বল। তিনিও এলিসের শিকার। অক্ষর শেষ পর্যন্ত ২৯ রান (১টি চার, ২টি ছয়) করে অপরাজিত থাকলেও বিশেষ লাভ হল না। কারণ উইকেটের অন্য প্রান্তে দাঁড়াতেই পারলেন না কুলদীপ যাদব (৪), মহম্মদ শামি (শূন্য) এবং মহম্মদ সিরাজ (শূন্য)। কুলদীপ, শামিকে পর পর দু’বলে আউট করে হ্যাটট্রিকের সুযোগ পেয়েছিলেন অ্যাবটও। সিরাজ কোনও রকমে তা ঠেকিয়ে দেন। তাতে অবশ্য দলের লজ্জা ঢাকল না।