দীর্ঘ দিন পর টেস্টে শতরান পেয়ে খুশি রোহিত। দল জেতায় দ্বিগুণ আনন্দ হচ্ছে তাঁর। ছবি: বিসিসিআই
নাগপুরে প্রথম টেস্টের দু’টি ইনিংসেই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ল অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং। দ্বিতীয় ইনিংসে একশোও পেরোল না তাদের রান। একটি সেশনেই মুড়িয়ে গেল অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস। অথচ সেই ইনিংসেই সাফল্যের সঙ্গে ব্যাট করলেন ভারতীয় ক্রিকেটাররা। রান পেলেন অক্ষর পটেল, মহম্মদ শামিরাও। এই পিচে যিনি সবচেয়ে সফল, সেই রোহিত শর্মা ম্যাচের পর সাফল্যের কারণ জানালেন।
রোহিত বলেছেন, “গত কয়েক বছর ধরে যে ধরনের পিচে আমরা খেলছি, তাতে রান করার জন্যে আগে থেকে কিছু পরিকল্পনা করে রাখতে হবে। আমি মুম্বইয়ে খেলে বড় হয়েছিল। ওখানকার পিচে বল ভালই ঘোরে। তাই রান করতে গেলে আপনাকে পুরনো দিনের মানসিকতা নিয়ে মাঠে নামতে হবে। অর্থাৎ ফুটওয়ার্ক ঠিক রাখতে হবে এবং রান করার জন্য সঠিক বলের অপেক্ষা করতে হবে। আলাদা কিছু করার চেষ্টা করে বিপক্ষের বোলারদের চাপে রাখতে হবে। এমন কিছু করা উচিত যেটা আপনি পারেন। সেটা সুইপ, রিভার্স সুইপ যা খুশি হতে পারে।”
টেস্টে অবশ্য অস্ট্রেলীয়রা চেষ্টার কোনও কমতি রাখেনি। সব রকম শট খেলার চেষ্টা করেছে তারা। কিন্তু মার্নাস লাবুশেন, স্টিভ স্মিথের মতো স্পিন ভাল খেলা ক্রিকেটাররাও সফল হতে পারেননি। ফুটওয়ার্কে গন্ডগোল এবং বলের লাইন বুঝতে না পারাই অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে গিয়েছে।
দীর্ঘ দিন পর টেস্টে শতরান পেয়ে খুশি রোহিত। দল জেতায় দ্বিগুণ আনন্দ হচ্ছে তাঁর। বলেছেন, “জয় দিয়ে সিরিজ় শুরু করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাতে আমারও পারফরম্যান্স রয়েছে, এটা ভেবে শান্তি পেয়েছি। চোটের কারণে অনেকগুলো টেস্টে খেলতে পারিনি। কিন্তু প্রত্যাবর্তন করতে পেরে ভাল লাগছে। টেস্টে অধিনায়ক হওয়ার পর এটা মোটে দ্বিতীয় টেস্ট। ইংল্যান্ডে কোভিড হয়েছিল, দক্ষিণ আফ্রিকায় খেলতে পারিনি, বাংলাদেশের হালকা চোট লাগে। কিন্তু এই টেস্টের জন্যে আগে থেকে তৈরি ছিলাম।”
পিচ নিয়ে অস্ট্রেলীয়রা যে দাবি করেছিল, তা উড়িয়ে দিয়েছেন রোহিত। সাফ বলেছেন, “টেস্টের শুরুতেই দুটো উইকেট পেয়েছিলাম। ওর থেকে ভাল কিছু হয় না। ওখানেই ম্যাচটায় আমরা এগিয়ে যাই। জানতাম আমাদের স্পিন বিভাগ বেশ ভাল। কিন্তু পেসারদের জন্যেও পিচে অনেক কিছু ছিল।”