আমদাবাদ টেস্টে রান পাওয়ার পর নিজের ব্যাটিং নিয়ে মুখ খুললেন কোহলি। ছবি: বিসিসিআই
আমদাবাদ টেস্টে রান পেয়ে স্বস্তিতে বিরাট কোহলি। ১৪ রানের জন্য দুশো রান হাত ছাড়া হলেও আক্ষেপ নেই তাঁর। বরং দীর্ঘ দিন পর নিজের মতো ব্যাটিং করতে পেরে খুশি কোহলি। মেনে নিয়েছেন, খারাপ ব্যাট না করলেও টেস্টের সঠিক ছন্দ পাচ্ছিলেন না।
আমদাবাদের ২২ গজে ব্যাট করে সন্তুষ্ট ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক। রবিবার ১৮৬ রান করার ২৩ ঘণ্টা পরে মুখ খুললেন তিনি। সোমবার ম্যাচের পর চার মিনিটের ভাষণে কোহলি বলেছেন, ‘‘এক জন খেলোয়াড় হিসাবে নিজের কাছে যে প্রত্যাশা থাকে সেটা আমার জন্য ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। যে ভাবে খেলতে চাই, সে ভাবে টেস্ট ক্রিকেট খেলতে পারছিলাম না। গত ১০ বছর যে ভাবে খেলেছি, তেমন খেলতে পারছিলাম না। তাই একটু সময় নিচ্ছিলাম। আগের মতো খেলার চেষ্টা করছিলাম। নাগপুরের প্রথম ইনিংসেই বুঝতে পেরেছিলাম, অনেকটা ভাল ব্যাট করছি।’’
বড় রান পেয়ে খুশি কোহলি বলেছেন, ‘‘আমাদের লক্ষ্য থাকে দলের জন্য যত বেশি সময় সম্ভব ব্যাট করা। সব সময় উইকেটে থাকার চেষ্টা করি। একটা পর্যায় পর্যন্ত উইকেটে থাকতে পারলেও আগের মতো পারছিলাম না কিছু দিন। এ জন্য কিছুটা হতাশ লাগছিল। এই টেস্টটা আবার আগের মতো করে খেলতে পেরে ভাল লাগছে। যে ভাবে চেয়েছিলাম, সে ভাবেই খেলতে পেরেছি। ভাল লেগেছে অনেক ভাল রক্ষণ করতে পারায়। বলতে পারেন নিজের খেলায় আমি খুশি। আমি এখন সেই জায়গা নেই যে, কাউকে ভুল প্রমাণ করার জন্য খেলতে হবে। কেন মাঠে নামছি, সেটা নিজের কাছে আরও যুক্তিগ্রাহ্য করতে চাইছিলাম।’’
কী ভাবে সাজালেন নিজের ইনিংস? কোহলি বলেছেন, ‘‘৬০ রানে অপরাজিত থাকার সময় ইতিবাচক ব্যাট করার পরিকল্পনা করেছিলাম। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য শ্রেয়স আয়ার চোটের জন্য ব্যাট করতে পারল না। এক জন ব্যাটার কমে গেল আমাদের। তখন ঠিক করি দীর্ঘ সময় উইকেটে থাকতেই হবে।’’
বড় রানের ইনিংস খেলার ব্যাপারে কতটা আত্মবিশ্বাসী ছিলেন? কোহলি বলেছেন, ‘‘আত্মবিশ্বাস নিয়ে কখনও সমস্যা ছিল না। ভালই ব্যাট করছিলাম। মনে হচ্ছিল, ভাল উইকেটে খেলার সুযোগ পেলে বড় রানের ইনিংস খেলতে পারব। এখানে সেটাই হয়েছে।’’
১৮৬ রানের ইনিংসের জন্য কোহলিকে ভারত-অস্ট্রেলিয়া চতুর্থ টেস্টের সেরা ক্রিকেটার বেছে নেওয়া হয়েছে। ১৪ মাস পর শনিবার টেস্টে অর্ধশতরান করেছিলেন কোহলি। রবিবার শতরান করেছেন ১২০৫ দিন পর। সাদা বলের ক্রিকেটে আগেই চেনা ছন্দে ফিরলেও টেস্টে পরিচিত মেজাজে দেখা যাচ্ছিল না কোহলিকে। আমদাবাদে আবার নিজের মেজাজে ব্যাট করতে পারাই সব থেকে বেশি স্বস্তি দিচ্ছে কোহলিকে।