ভারতীয় বোর্ডের পক্ষ থেকে শ্রেয়স আয়ারের চোটের কথা জানানো হলেও কোহলিকে নিয়ে কিছু বলা হয়নি। ছবি: পিটিআই
রবিবার কি বিরাট কোহলি অসুস্থতা নিয়েই খেলেছেন? শারীরিক ভাবে ফিট না হয়েও কি তাঁর ব্যাট থেকে ১৮৬ রানের ইনিংস বেরিয়েছে? ম্যাচের পর স্ত্রী তথা অভিনেত্রী অনুষ্কা শর্মা ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে তেমনই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। তবে ম্যাচের পর সাংবাদিক বৈঠকে এসে তা মানতে চাননি অক্ষর পটেল। ভারতীয় বোলারের মতে, কোহলিকে দেখে এক বারের জন্যেও মনে হয়নি তিনি শারীরিক ভাবে অসুস্থ।
কোহলির শারীরিক অবস্থার ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে অক্ষরের উত্তর, “আমি তো এমন কিছু জানি না। যে ভাবে উইকেটের মাঝে দৌড়চ্ছিল, তাতে দেখে কখনওই মনে হয়নি কোহলি অসুস্থ। ওর সঙ্গে জুটিটাও আমি খুব উপভোগ করেছি। শারীরিক অসুস্থতার ব্যাপারে আমি জানি না।” ভারতীয় বোর্ডের পক্ষ থেকে শ্রেয়স আয়ারের চোটের কথা জানানো হলেও কোহলিকে নিয়ে কিছু বলা হয়নি। ফলে তিনি আদৌ চোট পেয়েছেন কিনা বা কতটা অসুস্থ, তা পরিষ্কার নয়। অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় ইনিংসে তাঁকে ফিল্ডিং করতেও দেখা গিয়েছে।
ব্যাট হাতে আবার ধৈর্যশীল ইনিংস খেলেছেন অক্ষর। পঞ্চাশ পেরনোর পর আগ্রাসী হয়ে উঠতে দেখা যায় তাঁকে। চালিয়ে খেলতে গিয়েই আউট হন। সাজঘরের তরফে কি কোনও নির্দেশ ছিল তাঁর কাছে? অক্ষর বলেছেন, “কেউ কিছু বলেননি। বিরাট ভাই বলেছিল, যে ভাবে চাই সে ভাবেই খেলতে। আমরা সেট হয়ে যাওয়ার পর বোলাররা পিচ থেকে সাহায্য পাচ্ছিল না। আমিও ভাল শট খেলছিলাম। ৫০ হওয়ার পর বিরাট ভাই বলল বড় শট নিতে পারি। কারণ খেলার তখন মাত্র ২২ ওভার বাকি ছিল। কিন্তু ডিক্লেয়ার করা বা চালিয়ে খেলার ব্যাপারে কোনও বার্তা পাইনি।”
খেলা পাঁচ দিনে গড়িয়েছে বা আমদাবাদের নিষ্প্রাণ উইকেট নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় বেশ বিরক্ত অক্ষর। তাঁর মতে, সমালোচনা করতেই হবে। কারণ, মানুষ কিছুতেই খুশি হন না। অক্ষর বলেছেন, “প্রথম তিনটে ম্যাচের পর লোকে বলেছিল কেন তিন দিনে খেলা শেষ হয়েছে। এখন ম্যাচ পাঁচ দিনে গড়ালেও সবাই অবাক। এগুলো তো আমাদের হাতে নেই। উইকেট যা তেমনই তো খেলতে হবে। তবে দু’দলের প্রথম ইনিংস শেষ হতে হতে চার দিন লেগে গেল, এটা দেখে একটু অবাক। তবে শেষ দিনে আমরা জয়ের জন্যেই ঝাঁপাব।”