দীর্ঘ দিন পর ঘরের মাঠে টেস্ট খেলার সুযোগ পেয়ে খুশি কোহলি। ছবি: টুইটার।
আগেও তিনটি টেস্ট খেলেছেন দিল্লিতে। তবু এ বার ঘরের মাঠে টেস্ট খেলার সুযোগ পেয়ে অভিভূত বিরাট কোহলি। তাঁর মনে ভিড় করছে অতীতের নানা স্মৃতি। দিল্লি টেস্টের পর কয়েকটি অনুভূতি ক্রিকেটপ্রেমীদের সঙ্গে ভাগ করে নিলেন ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক।
দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়াম কোহলির ঘরের মাঠ। তাঁর ক্রিকেটার হিসাবে বেড়ে ওঠার অন্যতম সাক্ষী এই স্টেডিয়াম। ২০০৭ সালে প্রথম বার দিল্লির ২২ গজে টেস্ট খেলেন কোহলি। ২০১৭ সালে খেলা শেষ টেস্টে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে তাঁর ব্যাট থেকে এসেছিল ২৪৩ রানের ইনিংস। এ বারের অভিজ্ঞতা অবশ্য খুব একটা ভাল নয় তাঁর। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে আম্পায়ারের ‘ভুল’ সিদ্ধান্তে আউট হয়েছিলেন। সাজঘরে ফিরে অসন্তোষও প্রকাশ করেছেন। শেষ পর্যন্ত দল জেতায় খুশি প্রাক্তন অধিনায়ক।
ম্যাচ শুরুর আগে দিল্লিতে দলের সঙ্গে হোটেলে থাকেননি কোহলি। গুরগাঁওয়ের বাড়ি থেকে মাঠে যাতায়াত করেছেন গাড়ি চালিয়ে। তা নিয়ে সমাজমাধ্যমে কোহলি লিখেছেন, ‘‘বহু দিন পর নিজে গাড়ি চালিয়ে দিল্লির স্টেডিয়ামে এসেছি। আমার কাছে এই অনুভূতিটা অন্য রকম। অনেক স্মৃতি ভিড় করছে।’’ দিল্লির নির্দিষ্ট একটি দোকানের প্রিয় ছোলে কুলচা আনিয়ে খেয়েছেন সাজঘরে। বিতর্কিত আউটের পর তাঁর বিগড়ে যাওয়া মেজাজ ভাল করে দিয়েছিল প্রিয় খাবার। কোচ রাহুল দ্রাবিড়কেও ছোলে কুলচা চেখে দেখার অনুরোধ করেছিলেন কোহলি। কিন্তু বয়স এবং স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে সেই অনুরোধ রাখতে পারেননি দ্রাবিড়।
গাড়ি চালিয়ে অনুশীলনে আসা বা সাজঘরে পছন্দের দোকানের প্রিয় খাবার আনিয়ে খাওয়ার সুযোগ এক মাত্র দিল্লিতেই হয় কোহলির। সাদা বলের ম্যাচে সুযোগ কম। তাই পাঁচ বছর পর নিজের চেনা মাঠে টেস্ট খেলার সুযোগ পেয়ে দারুণ খুশি কোহলি। দিল্লির হয়ে খেলার সময় যা যা করতেন, সে সবের অনেক কিছুই তিনি করেছেন দিল্লি টেস্টের সময়।
আড়াই দিনে খেলা শেষ হয়ে যাওয়ায় গুরগাঁওয়ের বাড়িতেই আপাতত রয়েছেন কোহলি। দ্রাবিড়ের অনুমতি নিয়ে ভারতীয় দলের সব সদস্যই নিজের নিজের বাড়ি ফিরে গিয়েছেন। উল্লেখ্য, ভারত-অস্ট্রেলিয়া তৃতীয় টেস্ট শুরু হবে ১ মার্চ থেকে।