ভারতকে খেলায় ফেরালেন রবীন্দ্র জাডেজা। পর পর দু’বলে দুই উইকেট নিলেন তিনি। ছবি: বিসিসিআই
অস্ট্রেলিয়াকে টানছিলেন স্টিভ স্মিথ ও মার্নাশ লাবুশেন। মধ্যাহ্নভোজের বিরতি পর্যন্ত তাঁদের আউট করা যায়নি। কিন্তু বিরতির পরেই অস্ট্রেলিয়াকে জোড়া ধাক্কা দিল ভারত। পর পর দু’বলে দু’উইকেট নিলেন রবীন্দ্র জাডেজা। পরে ফেরালেন স্মিথকেও। তাঁর স্পিনের ভেল্কিতে খেলায় ফিরল ভারত।
মধ্যাহ্নভোজের বিরতির পরে প্রথমে আউট হন লাবুশেন। ইনিংসের শুরু থেকেই পায়ের ব্যবহার করছিলেন তিনি। উইকেট থেকে বেরিয়ে খেলছিলেন। সেখানেই লাবুশেনকে ফাঁদে ফেললেন জাডেজা। অফস্টাম্পে বাইরে কিছুটা মন্থর গতিতে করা বল মারতে গিয়ে মিস্ করলেন লাবুশেন। বল ঘুরে চলে গেল উইকেটরক্ষক শ্রীকর ভরতের হাতে। তখন ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে এসেছেন লাবুশেন। আর ফিরতে পারলেন না তিনি। ৪৯ রানের মাথায় স্টাম্প আউট হলেন তিনি।
পরের বলেই আবার সফল জাডেজা। এ বার তাঁর শিকার বাঁ হাতি ম্যাট রেনশ। বলের লাইনই ধরতে পারেননি রেনশ। বল তাঁর প্যাডে লাগলে আম্পায়ার আউট দেন। রেনশ রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি। ৮৪ রানে ৪ উইকেট পড়ে যায় অস্ট্রেলিয়ার।
লাবুশেন আউট হয়ে যাওয়ায় দলের রানকে টেনে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব এসে পড়ে স্মিথের কাঁধে। ভাল খেলছিলেন তিনি। বেশ কয়েকটি বড় শট মারেন। কিন্তু সেই জাডেজার বলেই ৩৭ রানের মাথায় বোল্ড হয়ে ফেরেন তিনি। ১০৯ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে চাপে অস্ট্রেলিয়া।
প্রথম তিন ওভারেই দুই ওপেনারকে হারিয়ে চাপে পড়ে গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। সেখান থেকে দলকে টেনে তোলেন স্টিভ স্মিথ ও মার্নাশ লাবুশেন। ভারতের বোলারদের ছন্দ নষ্ট করতে অন্য পদ্ধতি নেন তাঁরা। স্মিথ এমনিতেই এক জায়গায় দাঁড়িয়ে খেলেন না। ক্রমাগত নড়াচড়া করতে থাকেন। সেই এক কাজ করতে দেখা গেল লাবুশেনকেও। কোনও বলে উইকেট ছেড়ে এগিয়ে এলেন তাঁরা। কোনও বলে আবার পিছনের পায়ে খেললেন। ফলে বোলাররা নির্দিষ্ট জায়গায় বল ফেলতে পারলেন না। তারই সুযোগ নিল অস্ট্রেলিয়া।
ভারতের তিন স্পিনারই লাগাতার বল করলেন। কোনও কোনও বলে উইকেট নেওয়ার মতে পরিস্থিতি তৈরি হলেও আর উইকেট পড়েনি। তার মধ্যে কাটা ঘায়ের নুনের ছিটে কোহলির স্লিপে দাঁড়িয়ে ক্যাচ ফস্কানো। তার খেসারত দিতে হয়। মধ্যাহ্নভোজের বিরতিতে অস্ট্রেলিয়ার রান ছিল ২ উইকেটে ৭৬। কিন্তু বিরতির পরেই আবার খেলায় ফিরল ভারত।