আমদাবাদেও শ্রীকর ভরতকে প্রথমে একাদশে সুযোগ দিয়েছে ভারত। তার খেসারত দিতে হতে পারে রোহিত শর্মাদের। —ফাইল চিত্র
গোটা সিরিজ়ে মনে রাখার মতো কী করেছেন শ্রীকর ভরত? ভারতের উইকেটরক্ষক ব্যাট হাতে ব্যর্থ। একটি ইনিংসেও বড় রান পাননি তিনি। উইকেটের পিছনেও বিশেষ কিছু কেরামতি দেখা যায়নি হায়দরাবাদের এই উইকেটরক্ষকের কাছ থেকে। উল্টে ডিআরএসের সিদ্ধান্তে ভুল করেছেন। স্টাম্প ফস্কেছেন। আমদাবাদে সহজ ক্যাচ ফেললেন তিনি। তাঁর উপর কি বার বার ভরসা করে ভুল করছেন রোহিত শর্মারা? প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
আমদাবাদে ভারতের প্রথম একাদশে ভরত থাকবেন কি না তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছিল। মনে করা হচ্ছিল, এ বার হয়তো লাল বলের ক্রিকেটেও অভিষেক হবে ঈশান কিশনের। কিন্তু টসের পরে রোহিত জানান, দলে একটিই বদল হয়েছে। মহম্মদ সিরাজের বদলে এসেছেন মহম্মদ শামি। অর্থাৎ, ভরত রয়েছেন দলে।
প্রথম বল থেকেই উইকেটের পিছনে সমস্যায় পড়েন ভরত। শামি, উমেশদের বলের সুইং বুঝতে সমস্যা হচ্ছিল তাঁর। বাই হিসাবে প্রথম তিন ওভারেই ৮ রান দেন তিনি। ভরত সব থেকে বড় ভুল করেন ম্যাচের ষষ্ঠ ওভারে। উমেশের বল ট্রাভিস হেডের ব্যাটের কানায় লেগে তাঁর কাছে যায়। একটু সরতেও হয়নি ভরতকে। পেটের কাছে বলের লাইন মিস করেন তিনি। গ্লাভসের ভিতর দিয়ে বল গিয়ে পেটে লাগে। তার পর পড়ে যায় মাটিতে। ক্যাচ ফস্কানোর খেসারত দিতে হয় ভারতকে। আরও ১০ ওভার খেলেন হেড। রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বলে তিনি যখন ফিরছেন তখন হেডের নামের পাশে ৩২ রান।
আমদাবাদে খেলতে নামার আগের দিন রোহিত জানিয়েছিলেন, ঋষভ পন্থের অভাব বোধ করছেন তিনি। রোহিত বলেন, ‘‘সত্যিই পন্থকে খুব মিস্ করছি। বিশেষত এ ধরনের ঘূর্ণি পিচের ক্ষেত্রে। আমরা সবাই জানি পন্থ ব্যাট হাতে কী করতে পারে। তা ছাড়া উইকেটকিপিংয়েও গত দু’বছরে ও অনেক সাহায্য করেছে আমাদের। ঘূর্ণি উইকেটে ওর কিপিং বাকি সবার থেকে আলাদা।”
ম্যাচের আগে থেকেই জল্পনা ভাসছিল চতুর্থ টেস্টে ঈশানের খেলা নিয়ে। রোহিতকে সরাসরি প্রশ্ন করা হয় উইকেটকিপার বদল করা হচ্ছে কি না। তিনি বলেন, “ভরত প্রচুর সময় কাটিয়েছে ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলে। রঞ্জি ট্রফি, ভারত এ, আঞ্চলিক ক্রিকেট খেলে অনেক রান করেছে। তাই এই উইকেটে মাত্র তিনটে ম্যাচে ভরতের কিপিং দেখে ওকে বিচার করা মুশকিল। সবাইকে যথেষ্ট ম্যাচ খেলতে দিতে হবে। সেটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।”
শেষ পর্যন্ত সেই ভরতের উপরেই ভরসা রেখেছেন রোহিতরা। কিন্তু তিনি যে ভাবে সহজ ক্যাচ ছাড়ছেন তাতে সমস্যায় পড়ছে ভারত। বার বার ভুল করলে হয়তো পরের টেস্ট সিরিজ়েই উইকেটের পিছনে দেখা যাবে অন্য মুখ।