অস্ট্রেলিয়ার থেকে অনেকটা এগিয়ে রয়েছে ভারত। তৃতীয় দিনই খেলা পকেটে পুরে নিতে চাইছেন রোহিত শর্মারা। —ফাইল চিত্র
নাগপুরে প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় দিনের শেষে ১৪৪ রানে এগিয়ে ছিল ভারত। চতুর্থ দিনের প্রথম সেশনে সেই লিড ২০০ পার করল। প্রথম ইনিংসে বড় রানের লিডের দিকে এগোচ্ছে দল। তৃতীয় দিনই টেস্টের ফয়সালা করে ফেলতে চাইছেন রোহিত শর্মারা।
২০১০ সালের পর থেকে দেশের মাটিতে পরে ব্যাট করে প্রথম ইনিংসে ১০ বার ২০০ রান বা তার বেশি লিড নিয়েছে ভারত। সেই ১০ বারই ভারত জিতেছে। এই টেস্টেও ২০০-র বেশি লিড নেওয়ায় ভারতকে হারানো প্রায় অসম্ভব অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে। তা ছাড়া নাগপুরের উইকেটে চতুর্থ ইনিংসে আর ব্যাট করতে চাইবেন না রোহিতরা। তাই এই ইনিংসেই টেস্টের ফয়সালা করে ফেলতে চাইছেন তাঁরা।
যে পিচে অস্ট্রেলিয়া ব্যাট করতে পারল না, সেই পিচেই ৩০০-র উপর রান তুলে ফেলল ভারত। দ্বিতীয় দিনের শেষে ৩২১ রান তুলেছে ভারত। এর মধ্যে ১২০ রান রোহিতের। টেস্ট ক্রিকেটে তাঁর নবম শতরান। দেড় বছর পর লাল বলে শতরান করলেন ভারত অধিনায়ক। দেশের প্রথম অধিনায়ক হিসাবে সব ধরনের ক্রিকেটে শতরান করলেন রোহিত।
বৃহস্পতিবার ওপেন করতে নেমে লোকেশ রাহুল ২০ রানে আউট হয়ে যান। রাতপ্রহরী রবিচন্দ্রন অশ্বিন দ্বিতীয় দিনের শুরুতেও অনেক ক্ষণ ক্রিজে রইলেন। ২৩ রান করেন তিনি। অশ্বিন ফেরার পর মনে করা হয়েছিল রোহিতের সঙ্গে বড় জুটি বাঁধবেন চেতেশ্বর পুজারা (৭)। কিন্তু তিনি যে ভাবে আউট হলেন তা পুজারাচিত নয়। স্পিন বলের বিরুদ্ধে সুইপ করতে গিয়ে আউট হন তিনি।
পুজারা ব্যর্থ হওয়ার পর বিরাটের দিকে তাকিয়ে ছিল দল। কিন্তু অভিষেক ম্যাচ খেলতে নামা টড মারফির বল বিরাটের ব্যাট ছুঁয়ে জমা পড়ে উইকেটরক্ষক অ্যালেক্স ক্যারির হাতে। ১২ রান করে আউট বিরাট। অভিষেক ম্যাচ খেলতে নামা সূর্যকুমার যাদব মাত্র ৮ রান করে বোল্ড। দ্বিতীয় বলে চার মেরেছিলেন সূর্য, কিন্তু বেশি ক্ষণ ক্রিজে টিকে থাকতে পারলেন না তিনি। তরুণ উইকেটরক্ষক শ্রীকর ভরত ৮ রান করে আউট। ২৪০ রানে ৭ উইকেট চলে যায় ভারতের। মনে করা হচ্ছিল খুব বেশি লিড হয়তো নিতে পারবে না তারা। কিন্তু জাডেজা এবং অক্ষর ৮১ রানের জুটি গড়ে ফেলেন।