আইসিসি-র সিদ্ধান্তে খুশি নন সুনীল গাওস্কর। —ফাইল চিত্র
ইনদওরের পিচকে আইসিসি খারাপ বলায় এবং তিনটি ডিমেরিট পয়েন্ট দেওয়ায় প্রচণ্ড চটেছেন সুনীল গাওস্কর। তাঁর মতে ভারতের মাটিতে আড়াই দিনে খেলা শেষ হলেই পিচ খারাপ মনে হয় আইসিসির। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে যখন আড়াই দিনে খেলা শেষ হয়ে যায়, তখন কোনও কিছু বলা হয় না আইসিসি-র তরফে।
ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া টেস্ট ইনদওরে শেষ হয়ে যায় দু’দিন এবং একটি সেশনে। প্রথম দিন থেকেই স্পিনাররা সাহায্য পাচ্ছিলেন বলে মনে করেন ম্যাচ রেফারি ক্রিস ব্রড। আইসিসি ইনদওরের পিচকে খারাপ বলে জানায় এবং তিনটি ডিমেরিট পয়েন্ট দেয়। সেই সিদ্ধান্তের পর গাওস্কর বলেন, “আমি একটাই জিনিস জানতে চাইব। নভেম্বরে ব্রিসবেনের গাব্বায় একটা টেস্ট দু’দিনে শেষ হয়ে গিয়েছিল। সেই পিচকে আইসিসি ক’টা ডিমেরিট পয়েন্ট দিয়েছে এবং সেখানে ম্যাচ রেফারি কে ছিলেন?”
তৃতীয় টেস্টে প্রথমে ব্যাট করে ১০৯ রান করে ভারত। অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংস শেষ হয়ে যায় ১৯৭ রানে। ৮৮ রানে লিড নেয় তারা। ম্যাট কুহনেমান একাই নেন পাঁচ উইকেট। পরের ইনিংসে ভারত ১৬৩ রান করে। অস্ট্রেলিয়ার সামনে জয়ের জন্য মাত্র ৭৬ রানের লক্ষ্য দেন রোহিত শর্মারা। এক উইকেট হারিয়ে সেই রান তুলে নেয় অস্ট্রেলিয়া।
এমন পিচে ব্যাট করা কঠিন বলে মেনে নিয়েছেন রোহিতও। ম্যাচ রেফারি ক্রিস ব্রড তাঁর রিপোর্টে লেখেন, “পিচ খুব শুষ্ক ছিল। ব্যাটার এবং বোলারদের জন্য সমান সাহায্য ছিল না। স্পিনাররা প্রথম থেকেই বাড়তি সুবিধা পাচ্ছিল।”
আইসিসির উপর চটলেও ভারতীয় দলকেও এক হাত নিতে বাদ রাখেননি গাওস্কর। ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক বলেন, “প্রথম দুটো টেস্টে ভারত কিন্তু রান করতে পারেনি। নাগপুরে রোহিত ছাড়া কেউ রান পায়নি। রান না পেলে ব্যাটারদের মধ্যে একটা নড়বড়ে মানসিকতা কাজ করে। এই টেস্টে সেটা দেখা গিয়েছে। প্রয়োজনীয় রান তুলতে পারেনি ভারত। যতটা এগিয়ে এসে খেলা উচিত ছিল, সেটাও করেনি। পিচ ওদের ঘাড়ে চেপে বসেছিল। মাথার মধ্যে পিচটাই ছিল। বিশেষ করে দ্বিতীয় ইনিংসে বেশি চাপে ছিল ভারত।”
ভারতের পরের টেস্ট আমদাবাদে। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সেটাই এই সিরিজ়ে শেষ টেস্ট। এর আগে নাগপুর এবং দিল্লিতে খেলেছিল দুই দল। সেই ম্যাচগুলিতেও স্পিনের দাপট ছিল। আইসিসি সেই পিচগুলিকে ‘অ্যাভারেজ’ বলেছিল। ৯ মার্চ থেকে শুরু হতে চলা টেস্টে জিতলে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল খেলার জায়গা নিশ্চিত করবে ভারত।