আমদাবাদের পিচ কেমন হতে চলেছে সেই নিয়ে চর্চা চলছে। —ফাইল চিত্র
এ বারের বর্ডার-গাওস্কর ট্রফিতে সব থেকে বেশি আলোচনা হয়েছে পিচ নিয়ে। ভারত-অস্ট্রেলিয়া সিরিজের প্রথম তিনটি টেস্টের একটিও তিন দিনের বেশি খেলা হয়নি। এমন অবস্থায় আমদাবাদের পিচ কেমন হতে চলেছে সেই নিয়ে চর্চা চলছে। ইনদওরের পিচকে আইসিসির তরফে ‘খারাপ’ বলা হয়েছিল। সেই কারণে ৯ মার্চ থেকে শুরু হতে চলা আমদাবাদ টেস্টের আগে সতর্ক বিসিসিআই।
ইনদওরের টেস্ট শেষ হয়ে যায় দু’দিন এবং একটি সেশনে। ভারত ৯ উইকেটে হেরে যায় টেস্টটি। তাই আমদাবাদের পিচ প্রথম তিন টেস্টের মতো পুরোপুরি স্পিন সহায়ক হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে যে, আমদাবাদের পিচ ‘স্বাভাবিক’ হবে। ব্যাটাররা আমদাবাদের পিচে কিছুটা সুবিধা পাবে বলে মনে করা হচ্ছে। গুজরাত ক্রিকেট সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে যে, সাধারণত ঘরোয়া ক্রিকেটে এই পিচে রান পান ব্যাটাররা। ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া ম্যাচেও তেমনটাই হতে পারে।
গুজরাত ক্রিকেট সংস্থার এক কর্তা পিটিআইকে বলেন, “ভারতীয় দলের তরফে আমাদের কাছে আলাদা করে কোনও নির্দেশ আসেনি। পুরো মরসুমে আমাদের পিচ কিউরেটররা যেমন পিচ বানিয়ে থাকেন, তেমনটাই বানানো হচ্ছে। রঞ্জি ম্যাচে জানুয়ারি মাসে রেলওয়েজ় ৫০৮ রান তুলেছিল। সেই পিচের থেকে আলাদা কিছু হবে না এ বার।”
প্রথম দু’টি টেস্টে নাগপুর এবং দিল্লিতেও স্পিন সহায়ক উইকেট ছিল। ভারত সেই দু’টি ম্যাচ জিতলেও ইনদওরে হেরে যায়। অধিনায়ক রোহিত শর্মা যদিও তৃতীয় টেস্টে হারের পরেও বলেন, “আমরা এই ধরনের পিচেই খেলতে চেয়েছিলাম। কারণ, আমাদের শক্তি স্পিন বোলিং। বিদেশ সফরের সময় ওরাও নিজেদের শক্তি অনুযায়ী পিচ তৈরি করে। আমি বুঝতে পারছি না কেন ভারতেই শুধু পিচ নিয়ে এত কথা হয়! আমরা জানতাম, এই ধরনের পিচে ব্যাট করা কঠিন। তার পরেও আমরা খেলতে চেয়েছি।”