রবি কুমার এবং দেবাঙ্গ।
ছোটদের বিশ্বকাপে ভারতীয় দলে সুযোগ পেয়ে রবিকুমার সবার আগে যাঁর নাম করেছেন, তিনি তাঁর ছোটবেলার কোচ অরবিন্দ ভরদ্বাজ। এর পরেই রবির মুখে এসেছে দেবাঙ্গ গাঁধীর নাম।
বিশ্বকাপ দলে সুযোগ পেয়ে রবি যতটা উচ্ছ্বসিত, ততটাই খুশি দেবাঙ্গ। কারণ, বাংলার অনূর্ধ্ব ১৯ দলের কোচ হিসেবে দেবাঙ্গ তৈরি করেছেন রবিকে। ছাত্র সম্পর্কে তাঁর প্রথম প্রতিক্রিয়া, এই ছেলে দেশের হয়ে বড়দের দলেও খেলবে।
আনন্দবাজার অনলাইনকে দেবাঙ্গ জানালেন, ‘‘যখন বাংলার অনূর্ধ্ব ১৯ দলের জন্য ট্রায়াল নেওয়া হয়েছিল, তখনই ওকে প্রথম দেখি। তখনই মনে হয়েছিল, প্রতিভা আছে। তার থেকেও বড় কথা, প্রবল ইচ্ছে আছে। ওই ইচ্ছেটাই ওর সবথেকে বড় শক্তি। আমি তো জাতীয় নির্বাচক ছিলাম। সেই অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি ও বাংলার সিনিয়র দলের হয়ে খেলবে। দেশের সিনিয়র দলের হয়েও খেলবে।’’
দেবাঙ্গ নিশ্চিত, বিশ্বকাপে প্রথম একাদশে রবি সুযোগ পাবেনই। তাঁর যুক্তি, ‘‘প্রথমত ও বাঁহাতি জোরে বোলার। যত দূর জানি, এ বারের ভারতীয় দলে আর একজনও বাঁহাতি জোরে বোলার নেই। যে কোনও দলেই একজন বাঁহাতি জোরে বোলার থাকা মানে বিরাট সুবিধে। ফলে ওকে যে শুরু থেকেই খেলানো হবে, সেটা বলে দেওয়া যায়।’’ আর ঠিক এটাই রবির বোলিংয়ের সবথেকে বড় শক্তি জানিয়ে দেবাঙ্গ বললেন, ‘‘ও লম্বা। বল ভেতরে আনতে পারে। ফলে ডানহাতি ব্যাটারের বিরুদ্ধে ওর ইনসুইঙ্গারগুলো দারুণ কার্যকরী হবে।’’ উল্লেখ্য, সম্প্রতি ভারতের সিনিয়র দলে খেলা বাঁহাতি জোরে বোলার বলতে থিরু নটরাজন এবং চেতন সাকারিয়া। এর বাইরে আর কেউ নেই।
রবির দুর্বলতাও নজরে পড়েছে দেবাঙ্গর। বললেন, ও খুব রোগা। অবশ্য সেই খামতিটাও পুষিয়ে দিয়েছেন। জানালেন, ‘‘ওর মধ্যে দীর্ঘক্ষণ অনুশীলন করার ক্ষমতা থাকলেও ফিটনেস একটু কম ছিল। আমরা ওর খাওয়ার দিকে নজর দিই। প্রোটিনের মাত্রা বাড়াই। ফলে ওর ওজন বাড়ে, পেশির জোর বাড়ে। সেই সঙ্গে বলের গতিও বাড়ে। সব কৃতিত্বই রবির। ওর মধ্যে ইচ্ছেটা রয়েছে।’’
ছাত্র বিশ্বকাপ দলে সুযোগ পাওয়ার পর এখনও কথা হয়নি। দেবাঙ্গ বললেন, ‘‘দু’-তিন দিন আগে ওর সঙ্গে শেষ কথা হয়েছিল। ইয়োইয়ো টেস্ট নিয়ে কিছু পরামর্শ দিয়েছিলাম। ওকে একটা কথাই বলব, যে ইচ্ছেশক্তিটা দেখিয়েছ, সেটা ধরে রাখ। পরিশ্রম কর। তাহলেই হবে।’’