অনুষ্টুপদের ভরসা ইডেনের ইন্ডোর ও জিম ফাইল চিত্র।
রঞ্জি শুরু হতে আর এক মাসও বাকি নেই। প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে বাংলা দলে। এমন অবস্থায় বাংলার ক্রিকেটারদের বড় ভরসা ইডেনের ইন্ডোর এবং জিম। ইডেনের মাঠ যেমন চোখ ধাঁধিয়ে দেয়, তেমনই চোখ টানতে পারে ইডেনের ইন্ডোর।
বাংলার অন্যতম অভিজ্ঞ ব্যাটার অনুষ্টুপ মজুমদার আনন্দবাজার অনলাইনকে বললেন, “আগের জিমের থেকে অনেক উন্নতি হয়েছে। এখন এটা আন্তর্জাতিক স্তরের যে কোনও জিম, ইন্ডোর মাঠের সমতুল্য। আমাদের উন্নতিই হবে।”
ইডেনের ইন্ডোর
সেজে উঠেছে ইডেনের ইন্ডোর
কী কা রয়েছে নতুন জিমে? আগের থেকে আরও বড় এই ইন্ডোর মাঠে রয়েছে দুটো বোলিং মেশিন, ভিডিয়োর মাধ্যমে খেলা পর্যালোচনা করার আধুনিক প্রযুক্তি। এই ইন্ডোরে শ্রীবৎস গোস্বামী, অনুষ্টুপরা যেমন অনুশীলন করতে পারবেন, তেমনই অনুশীলন করতে পারবেন বাংলার যুব দল এবং মহিলা দলও। তৈরি করা হয়েছে আধুনিক জিমও।
ইডেনের জিমে বাংলার ক্রিকেটাররা
শরীরচর্চা বাংলার ক্রিকেটারদের
সিনিয়র বাংলা দলের ট্রেনার সঞ্জীব দাস যদিও জিম বলতে নারাজ, তাঁর মতে এটা ‘হাই পারফরম্যান্স জোন’। অর্থাৎ এমন একটা জায়গা, যেখানে খেলোয়াড়রা নিজেদের শারীরিক ক্ষমতা আরও বাড়িয়ে পারফরম্যান্সের উন্নতি করার সুযোগ পাবেন। বাংলার ক্রিকেট নিয়ামক সংস্থার প্রধান অভিষেক ডালমিয়া বললেন, “একজন ক্রিকেটার সেরা সুযোগ সুবিধাটাই পাবে এখানে। বাংলার ক্রিকেট বোর্ড সব সময় সেই চেষ্টাই করে।”
ইডেনের জিমে বাংলার ক্রিকেটাররা
শরীরচর্চায় ব্যস্ত বাংলার ক্রিকেটাররা
জিমের আধুনিক সরঞ্জামের মাধ্যমে ব্যাটার, বোলার, ফিল্ডাররা নিজেদের প্রয়োজন অনুযায়ী পেশীর উন্নতি করতে পারবে। সঞ্জীব বললেন, “অন্য জিমে যে ধরনের যন্ত্রপাতি থাকে তাতে পেশিবহুল চেহারা বানানো যায়। বাইসেপ, ট্রাইসেপ তৈরি করা যায়। ইডেনে সেই ধরনের যন্ত্র নেই, এখানে পেশীর শক্তি বাড়ানো হয়। পেশীর ক্ষমতা বাড়ানো হয়। এর ফলে ক্রিকেটাররা গোটা ম্যাচ জুড়ে শারীরিক ক্ষমতা ধরে রাখার সুযোগ পাবেন।” বাংলার ট্রেনারের মতে এই ‘হাই পারফরম্যান্স জোন’-এ অনুশীলন করলে যে বোলার ১৪০ কিলোমিটার গতিবেগে বল করেন, তিনি সারাদিন ধরে সেটা করার ক্ষমতা পাবেন। বল আটকাতে ফিল্ডাররা অনেক তাড়াতাড়ি রিঅ্যাক্ট করতে পারবে বলেও জানালেন সঞ্জীব।
প্রস্তুত হচ্ছেন ক্রিকেটাররা
নতুন ভাবে সেজে উঠেছে ইন্ডোরের জিম
দোতলায় জিমে যাওয়ার আগেই নজর কাড়বে অত্যাধুনিক ইন্ডোর মাঠ। ২০১৯ সালে গোলাপি বলের টেস্টের সময় তৈরি হওয়া এই মাঠে মূলত অনুশীলন হয় বর্ষায়। অনূর্ধ্ব-১৬ থেকে বাংলার সিনিয়র দলের ছেলে, মেয়েরা অনুশীলন করতে পারবে সেখানে। জিমেও একসঙ্গে বহু ক্রিকেটার অনুশীলন করতে পারবেন। তবে করোনার কারণে এখন সকলকে একসঙ্গে অনুশীলন করতে দেওয়া হয় না। ইন্ডোর মাঠের সঙ্গেই রয়েছে দু’টি সাজঘর। ছেলে এবং মেয়েদের আলাদা দু’টি সাজঘর তৈরি করা হয়েছে। তৈরি করা হয়েছে সুইমিং পুলও।