অভিষেকের পরে বাবা ও মায়ের সঙ্গে রিয়ান পরাগ (মাঝে)। ছবি: এক্স।
ঘরোয়া ক্রিকেটে ধারাবাহিক ভাবে ভাল খেলার পরেও জাতীয় দলের দরজা খুলছিল না রিয়ান পরাগের। অবশেষে ভারতীয় দলে সুযোগ পেয়েছেন রিয়ান পরাগ। তাঁকে অভিষেকের টুপি পরিয়ে দিয়েছেন পরাগের বাবা। পুত্রের স্বপ্নপূরণের সাক্ষী থেকেছে পরিবার। উত্তর-পূর্বের প্রথম ক্রিকেটার হিসাবে জাতীয় দলে খেলার সুযোগ পেয়েছেন পরাগ।
শনিবার জ়িম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে অভিষেক হয়েছে পরাগের। ম্যাচের আগে তাঁকে অভিষেকের টুপি পরিয়ে দেন তাঁর বাবা পরাগ দাস। সেখানে দলের বাকি ক্রিকেটারেরাও ছিলেন। পরাগের মা-ও ছিলেন মাঠে। সাধারণত, কোনও ক্রিকেটারকে অভিষেকের টুপি দলের কোচ বা কোনও সিনিয়র খেলোয়াড় পরিয়ে দেন। কিন্তু এ ক্ষেত্রে পরাগকে টুপি পরিয়েছেন তাঁর বাবা।
প্রথম ম্যাচের অভিজ্ঞতা অবশ্য ভাল হয়নি পরাগের। বল করেননি তিনি। ব্যাট করতে নেমে ৩ বলে ২ রান করে আউট হয়ে গিয়েছেন। গুড লেংখের বল মিড অফের উপর দিয়ে খেলতে গিয়ে আউট হয়েছেন তিনি।
গত মরসুমে সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে ১৮২.৭৯ স্ট্রাইক রেটে ৫১০ রান করেছিলেন তিনি। ১১টি উইকেট নিয়েছিলেন। দেওধর ট্রফিতে পাঁচটি ম্যাচে ৩৫৪ রান করেছিলেন পরাগ। সেখানেও ১১টি উইকেট নিয়েছিলেন অসমের এই ক্রিকেটার। রঞ্জি ট্রফিতেও ধারাবাহিকতা দেখিয়েছেন পরাগ। চারটি ম্যাচে ৭৫.৬০ গড়ে ৩৭৮ কান করেছেন। দু’টি শতরান করেছেন তিনি।
আইপিএলেও নিজের ফর্ম ধরে রেখেছেন পরাগ। ১৪৯.২২ স্ট্রাইক রেটে ৫৭৩ রান করেছেন। কমলা টুপির তালিকায় তিন নম্বরে ছিলেন তিনি। রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে চার নম্বরে নিজের জায়গা পাকা করেছেন পরাগ। জাতীয় দলের হয়ে অভিষেক ম্যাচেও সেই চার নম্বরেই ব্যাট করতে নেমেছিলেন পরাগ। কিন্তু অভিষেক ভাল হল না তাঁর।