সূর্যকুমার যাদব। —ফাইল চিত্র।
ভারত অধিনায়ক হিসাবে প্রথম বার ইডেন গার্ডেন্সে নামছেন সূর্যকুমার যাদব। বুধবার ইডেন গার্ডেন্সে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম টি-টোয়েন্টি খেলতে নামছে ভারত। তার আগে কলকাতা নাইট রাইডার্সে কাটানো সময়ের কথা মনে পড়ছে সূর্যের। ১১ বছর পুরনো স্মৃতি ভিড় করছে তাঁর মনে।
২০১৪ সালে প্রথম বার কেকেআর কেনে সূর্যকে। ২০১৭ সাল পর্যন্ত এই দলের হয়ে খেলেছেন তিনি। কলকাতার হয়েই আইপিএলে প্রথম নজর কাড়েন সূর্য। মঙ্গলবার ইডেনে দাঁড়িয়ে সূর্য বলেন, “প্রথম বার যখন কলকাতায় আসি সকলে খুব মিস্টি দই খাইয়েছিল। তাই এ বারও দই খেয়েছি। ওই অনুভূতি বলে বোঝানো যাবে না। এখনও ২০১৪ সালের কথা মনে পড়ে। তখনও ভাবিনি ১১ বছর পরে ভারত অধিনায়ক হিসাবে এই মাঠে দাঁড়াব।”
সূর্য যখন কেকেআরে খেলতেন তখন দলের অধিনায়ক ছিলেন গৌতম গম্ভীর। সেই গম্ভীর এখন ভারতের কোচ। তাঁর সঙ্গে কোচের সম্পর্ক কতটা ভাল সেটা আরও এক বার মনে করিয়ে দিয়েছেন সূর্য। তিনি বলেন, “এটা ঐতিহাসিক ম্যাচ। তাই অধিনায়ক হিসাবে এখানে নামার অনুভূতিই আলাদা। ২০১৫, ২০১৫, ২০১৬ ও ২০১৭ সালে কেকেআরে খেলেছি। সেই সময় গৌতি ভাই অধিনায়ক ছিল। ওঁর অধীনে অনেক কিছু শিখেছি। এক বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। এই মাঠে আবার নামতে পেরে খুব ভাল লাগছে।”
২০২৩ সালের এক দিনের বিশ্বকাপ খেলেছেন সূর্য। কিন্তু চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে রাখা হয়নি তাঁকে। জায়গা না পেয়ে কি হতাশ সূর্য? না। তিনি বলেন, “হতাশ কেন হব? দুঃখ কেন পাব? ভাল খেলতে পারলে ঠিকই সুযোদ পেতাম। যারা পেয়েছে তারা আমার থেকে ভাল খেলেছে। সেটা তো স্বীকার করে নিতে হবে। ওদের প্রত্যেককে আমার শুভেচ্ছা।”
দলে সুযোগ না পাওয়ায় হতাশ না হলেও নিজের খেলায় হতাশ সূর্য। ৫০ ওভারের ক্রিকেটে তাঁর ফর্ম তাঁকে দুঃখ দিয়েছে। সূর্য বলেন, “আমি ভাল খেলতে পারিনি। সেটা বেশি দুঃখ দেয়। ভাল খেললে দলে থাকতাম। সুযোগ পেয়েছি। কিন্তু তা কাজে লাগাতে পারিনি। আশা করছি ভবিষ্যতে আবার এক দিনের দলে সুযোগ পাব।”
টি-টোয়েন্টিতে বিশ্বের সেরা ব্যাটারদের তালিকায় রয়েছেন সূর্য। কিন্তু এক দিনের ক্রিকেটে ৩৭টি ম্যাচে মাত্র ৭৭৩ রান করেছেন তিনি। ২৫.৭৬ গড়ে রান করেছেন সূর্য। একটিও শতরান নেই। এক দিনের দলে মিডল অর্ডারে যাঁরা খেলেন সেই শ্রেয়স আয়ার বা লোকেশ রাহুলদের ফর্ম সূর্যের থেকে ভাল। তাই তাঁরা সুযোগ পেয়েছেন। এই সত্যি স্বীকার করে নিয়েছেন সূর্য।