বিস্ময় প্রতিভা নিবেথন রাধাকৃষ্ণণ ছবি: টুইটার
তিনি স্পিনার। তবে ডান হাতি বা বাঁ হাতি নন, তিনি দো-হাতি। অর্থাৎ দু’হাতেই বল করতে পারেন। আর এই ভেল্কি দেখিয়েই বিপক্ষের তিন উইকেট নিয়ে নিয়েছেন। অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপের প্রথম দিন থেকেই সবার আলোচনার কেন্দ্রে অস্টেলিয়ার স্পিনার নিবেথন রাধাকৃষ্ণণ। আদতে যিনি ভারতীয় বংশোদ্ভূত। তাঁর জন্মও হয়েছে ভারতে।
চেন্নাইয়ে জন্ম রাধাকৃষ্ণণের। ভেঙ্কটরাঘবন, অশ্বিনের রাজ্যের ভূমিপুত্র শুরুতে ডান হাতেই বল করতেন। ২০০৮ সালে তাঁর যখন ৬ বছর বয়স তখন এক দিন তাঁর বাবা তাঁকে বলেন বাঁ হাতেও বল করা শুরু করতে। বাবা তাঁকে বলেন, তিনি টেলিভিশনে কাউকে দু’হাতে বল করতে দেখেননি। ছেলে যেন সেই চেষ্টা করে। সেই শুরু। এখন দু’হাতেই সমান বল করতে পারেন।
গত বছর এক সাক্ষাৎকারে রাধাকৃষ্ণণ বলেন, ‘‘আমার ব্যর্থ হওয়ার কোনও ভয় ছিল না। কে কী বলছে সেটাও ভাবিনি। বাবার কথা শুনে বল করে গিয়েছি। শুধু চেষ্টা করেছি কোন উচ্চতায় নিজেকে নিয়ে যেতে পারছি।’’ পরিবার অস্ট্রেলিয়ায় চলে যাওয়ায় সে দেশের নাগরিকত্ব নিয়েছেন। এখন শেন ওয়ার্নের দেশের হয়েই খেলেন তিনি।
সাধারণত বাঁ হাতি ব্যাটার সামনে থাকলে রাধাকৃষ্ণণ ডান হাতে বল করেন। অন্য দিকে ডান হাতি ব্যাটার থাকলে বল চলে যায় বাঁ হাতে। কখনও কখনও আবার ডান হাতি ব্যাটারকে ডান হাতেও বল করেন। হাত বদলের ফলে ব্যাটারের খেলতে সমস্যা হয়। বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ১০ ওভারে ৪৮ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন তিনি।
সামনেই আইপিএল-এর নিলাম। বিরল প্রতিভার এই স্পিনারের কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজির নজরে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ইতিমধ্যেই আইপিএল-এর স্বাদ পেয়েছেন রাধাকৃষ্ণণ। গত বছর দিল্লি ক্যাপিটালসের নেট বোলার ছিলেন তিনি। দেখা যাক এ বার মূল মঞ্চে সুযোগ হয় কি না।