ভারতীয় বোলারদের দাপটে শুরু থেকেই চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশের ব্যাটিং। টপ অর্ডারের কোনও ব্যাটারই রান পাননি। ওপেনার শারমিন আখতার আউট হন ৫ রান করে। ফরগনা হক করেন শূন্য। অধিনায়ক নিগার সুলতানা, রুমানা আহমেদ, মুর্শিদা খাতুনও তাড়াতাড়ি আউট হন। পূজা বস্ত্রকরের গতি এবং রাজেশ্বরী গায়কোয়াড়, স্নেহ রানা ও পুনম যাদবের স্পিন সমস্যায় ফেলছিল বাংলাদেশের ব্যাটারদের।
ম্যাচ জিতে উল্লাস ভারতীয় দলের ছবি: টুইটার।
মেয়েদের বিশ্বকাপে ফের জয়ে ফিরল ভারত। বাংলাদেশকে ১১০ রানে হারালেন মিতালি রাজরা। এই জয়ের সঙ্গে প্রথম চারের লড়াইয়ে জায়গা কিছুটা পোক্ত করল ভারত। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে টপকে তৃতীয় স্থানে পৌঁছে গেল তারা। ভারতের জয়ে বড় ভূমিকা নিলেন দলের বোলাররা। ফলে ২২৯ রান তুলেও সহজে জিতল ভারত।
২২৯ রান তাড়া করতে নেমে ভারতীয় বোলারদের দাপটে শুরু থেকে চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশের ব্যাটিং। টপ অর্ডারের কোনও ব্যাটারই রান পাননি। ওপেনার শারমিন আখতার আউট হন ৫ রান করে। ফরগনা হক করেন শূন্য। অধিনায়ক নিগার সুলতানা, রুমানা আহমেদ, মুর্শিদা খাতুনও তাড়াতাড়ি আউট হন। পূজা বস্ত্রকরের গতি এবং রাজেশ্বরী গায়কোয়াড়, স্নেহ রানা ও পুনম যাদবের স্পিন সমস্যায় ফেলছিল বাংলাদেশের ব্যাটারদের।
এই পরিস্থিতিতে একমাত্র ভাল খেলছিলেন সালমা খাতুন। দ্রুত রান তুলছিলেন তিনি। কিন্তু ঝুলন গোস্বামীর অভিজ্ঞতার সামনে টিকতে পারলেন না। ২৮তম ওভারের প্রথম দু’টি বল অফ স্টাম্পে শর্ট লেংথে করেন ঝুলন। দু’টি বলই জোরে খেলতে গিয়ে মিস করেন সালমা। তৃতীয় বল ব্যাটে ঠেকান তিনি। চতুর্থ বলে উইকেট পান ঝুলন। টেস্ট ম্যাচের আদর্শ লেংথে বল করেন বাংলার মেয়ে। পিচে পড়ে অতিরিক্ত লাফিয়ে সালমার ব্যাটের কোনায় লেগে বল যায় উইকেটরক্ষক রিচার কাছে। দুই বাঙালির যুগলবন্দিতে ৩২ রান করে আউট হন সালমা।
বাকিদের মধ্যে কেউ দাঁড়াতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত ৪০.৩ ওভারে ১১৯ রানে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। ১১০ রানে ম্যাচ জেতে ভারত। এই জয়ের ফলে ৬ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে রানরেটের বিচারে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে টপকে তৃতীয় স্থানে পৌঁছে গেল ভারত। এর পরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচ খেলতে নামবেন মিতালিরা। সেই ম্যাচ জিতলেই সেমিফাইনালে পৌঁছে যাবে ভারত।
গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন মিতালি। শুরুটা ভাল করেন স্মৃতি মন্ধানা ও শেফালি বর্মা। রানের গতিও ভাল ছিল। ১৫তম ওভারের শেষ বলে স্মৃতিকে ৩০ রানের মাথায় আউট করেন নাহিদা আখতার। পরের ওভারে ৪২ করে আউট হয়ে যান শেফালি। তার পরের বলেই আউট মিতালি। ৭৪ রানের মাথায় পর পর ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় ভারত। হরমনপ্রীত করেন ১৪।
একটা সময়ে মনে হচ্ছিল ২০০ পর্যন্ত পৌঁছতে পারবে না ভারতের মেয়েরা। কিন্তু উইকেটরক্ষক বাংলার রিচার সঙ্গে জুটি বাঁধেন পূজা। ঝুঁকি না নিয়ে দলের রানকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন তাঁরা। রিচা ২৬ রান করে আউট হওয়ার পরে পূজার সঙ্গে যোগ দেন স্নেহ। তিনি করেন ২৭। পূজা ৩০ রান করে অপরাজিত থাকেন।
ক্রিকেট কেরিয়ারে দ্বিতীয় বার ‘গোল্ডেন ডাক’ (প্রথম বলেই শূন্য রানে আউট) করলেন মিতালি। এই নিয়ে বিশ্বকাপে দ্বিতীয় বার এই লজ্জার নজির হল তাঁর। মিতালির ব্যর্থতার দিনে অবশ্য ম্যাচ জিততে কোনও সমস্যা হল না ভারতের।