অভিমন্যু ঈশ্বরণ। —ফাইল চিত্র।
দ্বিশতরানের দিকে এগোচ্ছেন অভিমন্যু ঈশ্বরণ। দলীপ ট্রফির ম্যাচে ইন্ডিয়া ‘বি’র অধিনায়ক শনিবার খেলার শেষে অপরাজিত ১৪৩ রানে। বাংলার ব্যাটারের সঙ্গে ২২ গজে রয়েছে রাহুল চাহার। তৃতীয় দিনের শেষে অভিমন্যুদের রান ৭ উইকেটে ৩০৯। রুতুরাজ গায়কোয়াড়ের ইন্ডিয়া ‘সি’ প্রথম ইনিংসে করে ৫২৫ রান।
ব্যাট হাতে দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন অভিমন্যু। প্রতিপক্ষের বড় রানের জবাবে দলের হয়ে প্রায় একাই লড়াই করলেন। রবিবার অভিমন্যু দ্বিশতরান পূর্ণ করতে পারবেন কি না, তা অনেকটাই নির্ভর করবে ইন্ডিয়া ‘বি’র অন্য ব্যাটারদের উপর। শুক্রবার খেলার শেষে ইন্ডিয়া ‘এ’র রান ছিল ১২৪/০। ৫১ রানে অপরাজিত ছিলেন অভিমন্যু। শনিবারও একই রকম দৃঢ়তা নিয়ে দলের ইনিংসকে এগিয়ে নিয়ে গেলেন বাংলার ব্যাটার। যদিও ২২ গজের অন্য প্রান্ত থেকে তেমন সাহায্য পেলেন না।
আগের দিনের আর এক অপরাজিত ব্যাটার নারায়ণ জগদীশন ৭০ রান করে আউট হন অনশুল কম্বোজের বলে। তিনি আউট হওয়ার পর ধারাবাহিক ব্যবধানে উইকেট হারাল ইন্ডিয়া ‘এ’। ২২ গজের এক প্রান্ত অভিমন্যু আগলে রাখলেও কোনও সতীর্থের থেকেই ভরসা পেলেন না। কম্বোজের বলের সামনে একের পর এক ব্যাটার আত্মসমর্পণ করলেন। মুশির খান (১), সরফরাজ খান (১৬), রিঙ্কু সিংহ (৬), নীতীশ কুমার রেড্ডিদের (২) সাজঘরে ফেরালেন হরিয়ানার অলরাউন্ডার। তাঁর দাপটে কোনও উইকেট না ১২৯ রান তোলা ইন্ডিয়া ‘এ’ ১৯৪ রানে ৫ উইকেট হারায়। রান পেলেন না ওয়াশিংটন সুন্দর (১৩) এবং সাই সুদর্শনও (২১)। দিনের শেষে অভিমন্যুর সঙ্গে ২২ গজে অপরাজিত আছেন রাহুল (১৮)। ইন্ডিয়া ‘সি’র থেকে এখনও ২১৬ রানে পিছিয়ে রয়েছে ইন্ডিয়া ‘বি’। রবিবার ম্যাচের শেষ দিন।
রুতুরাজের দলের সফলতম বোলার কম্বোজ ৫ উইকেট নিয়েছেন ৬৬ রান খরচ করে। এ ছাড়া বিজয়কুমার বৈশাখ ৬৭ রানে ১ উইকেট এবং মায়াঙ্ক মারকান্ডে ৫৯ রানে ১ উইকেট পেয়েছেন।