প্রতীকী ছবি।
আইপিএলের জন্য বছরে আড়াই মাস নির্দিষ্ট সময় চায় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। আইসিসির কাছে সেই মর্মে আবেদনও জানিয়েছে বিসিসিআই। সেই আবেদন প্রাথমিক ভাবে গ্রহণ করেছে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থা। ২০২৪ পর্যন্ত ক্রিকেট ক্যালেন্ডার প্রাথমিক যে খসড়া তৈরি করেছে, তাতে আইপিএলের জন্য আড়াই মাস সময় রেখেছে আইসিসি।
বিসিসিআই সচিব জয় শাহ বলেছেন, ‘‘আইসিসির পরবর্তী এফটিপিতে (ফিউটার ট্যুর অ্যান্ড পোগ্রাম) আইপিএলের জন্য আড়াই মাস সময় সরকারি ভাবে রাখা হচ্ছে। যাতে আন্তর্জাতিক পর্যায়ের সেরা ক্রিকেটাররা আইপিএলে খেলতে পারেন। আমরা বিষয়টি নিয়ে আগেই আইসিসি এবং বিভিন্ন দেশের বোর্ডের সঙ্গে কথা বলেছি।’’
সূত্রের খবর, মার্চের শেষ সপ্তাহ থেকে জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত আইপিএলের জন্য ফাঁকা রাখছে আইসিসি। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত অবশ্য নেওয়া হবে বার্মিংহ্যামে আইসিসির সভায়। একটি দেশের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি লিগের জন্য কেন আইসিসি এতটা সময় নির্দিষ্ট করছে, তা নিয়ে আপত্তি তুলতে পারে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। পিসিবি চেয়ারম্যান রামিজ রাজা আগেই সে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। পাক আপত্তি যাতে আইপিএলের ক্ষেত্রে বাধা না হয় সে জন্য চেষ্টা করছে সব রকম চেষ্টা চালাচ্ছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়রা।
পাকিস্তানের আপত্তি তেমন সমস্যা করবে বলে মনে করছে না আইসিসিও। আইসিসির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্তা সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেছেন, ‘‘রামিজের সমস্যা হচ্ছে, ওকে নিজের দেশের সংবাদমাধ্যমকে কিছু কথা বলতেই হয়। কারণ ওর কিছু ভয় রয়েছে। কিন্তু আইসিসির বৈঠকগুলোয় ওর ভূমিকা খানিকটা অন্যরকম। কখনই তীব্র প্রতিবাদ করেনি রামিজ। আসলে রামিজ খুবই ভদ্রলোক। ও জানে কী হবে। ওর বোর্ড এবং ওর দেশের ক্রিকেটারাও চায় আইপিএল ভাল ভাবে হোক।’’
আইপিএলে আগে খেলত আটটি দল। তখন ম্যাচ হত ৬০টি। চলতি বছর থেকে দলের সংখ্যা বেড়ে ১০ এবং ম্যাচের সংখ্যা বেড়ে ৭৪ হয়েছে। আগামী দিনে আইপিএলের ম্যাচের সংখ্যা বেড়ে ৯৪ পর্যন্ত হতে পারে। অস্ট্রেলিয়ার বিগ ব্যাশ, পাকিস্তান প্রিমিয়ার লিগ বা ইংল্যান্ডের দ্য হান্ড্রেড লিগের জন্য অবশ্য আইসিসি নির্দিষ্ট কোনও সময় বরাদ্দ করছে না। যদিও ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া এবং ইসিবি তাদের ঘরোয়া বিগ ব্যাশ এবং হান্ড্রেড লিগের সময় কোনও আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে রাজি নয়। তারা দেশের সেরা ক্রিকেটারদের নিজেদের ঘরোয়া প্রতিযোগিতায় খেলাতে চায়। ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ নিয়ে একই অবস্থান ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডেরও। একই দাবি তুলতে পারে বাংলাদেশ, দক্ষিণ আফ্রিকা, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কাও।
সব দেশই নিজেদের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতার সময় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে রাজি নয়। ২৫ এবং ২৬ জুলাই বার্মিংহ্যামে আইসিসির বার্ষিক সাধারণ সভায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হওয়ার কথা।