জয় দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করলেন বাবরেরা। ছবি: আইসিসি।
জয় দিয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করল পাকিস্তান। শুক্রবার হায়দরাবাদে নেদারল্যান্ডসকে ৮১ রানে হারালেন বাবর আজ়মেরা। প্রথম ব্যাট করে পাকিস্তান করে ২৮৬ রান। জবাবে নেদারল্যান্ডসের ইনিংস শেষ হয়ে যায় ২০৫ রানে। জয় এলেও দলের ব্যাটিং নিয়ে উদ্বেগে থাকতে পারেন বাবর।
টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন নেদারল্যান্ডসের অধিনায়ক স্টক এডওয়ার্ডস। তাঁর সিদ্ধান্ত খুব একটা ভুল ছিল না। তবু সার্বিক ক্রিকেটীয় দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতায় পিছিয়ে থাকার জন্য হারতে হল তাঁদের। নেদারল্যান্ডসের সামনে পাকিস্তানের ইনিংসের শুরুটা ভাল হয়নি। ৩৮ রানেই ৩ উইকেট হারায় পাকিস্তান। অধিনায়ক বাবর (৫) ছাড়াও রান পেলেন না দুই ওপেনার ফখর জ়ামান (১২) এবং ইমাম উল হক (১৩)। পাক ইনিংসের হাল ধরেন মহম্মদ রিজ়ওয়ান এবং সাউদ শাকিল। চতুর্থ উইকেটের জুটিতে তাঁরা তোলেন ১২০ রান। দু’জনেই করেন ৬৮ রান করে। রিজ়ওয়ানের ৭৫ বলে ইনিংসে ছিল ৮টি চার। তুলনায় আগ্রাসী ছিলেন শাকিল। তাঁর ৫২ বলের ইনিংসে রয়েছে ৯টি চার এবং ১টি ছয়। মহম্মদ নওয়াজ (৩৯) এবং শাদাব খানের (৩২) ইনিংস পাকিস্তানকে লড়াই করার মতো জায়গায় পৌঁছে দেয়। শেষ দিকে শাহিন আফ্রিদির অপরাজিত ১৩ এবং হ্যারিস রউফের ১৬ রানের ইনিংস বাবরদের রানকে ভদ্রস্থ জায়গায় নিয়ে যায়। নেদারল্যান্ডসের সফলতম বোলার বাস ডি লিড। তিনি ৬২ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়েছেন। ৩৯ রানে ২ উইকেট কলিন আকেরম্যানের।
জয়ের জন্য ২৮৭ রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা খারাপ করেননি এডওয়ার্ডসেরা। ২৩.৪ ওভারে ৩ উইকেটে ১২০ রান তুলে ফেলে তারা। একটা সময় মনে হচ্ছিল পাকিস্তান হেরেও যেতে পারে। যদিও বিশ্বকাপের প্রথম অঘটন ঘটাতে পারল না নেদারল্যান্ডস। পাক বোলিং আক্রমণের সামনে দাঁড়াতে পারলেন না নেদারল্যান্ডসের মিডল এবং লোয়ার অর্ডার ব্যাটারেরা। ওপেনার বিক্রমজিৎ সিংহ করেন ৬৭ বলে ৫২ রান। ৪টি চার এবং ১টি ছয় মারেন তিনি। চার নম্বরে নামা অলরাউন্ডার লিড করেন ৬৮ বলে ৬৭ রান। ৬টি চার এবং ২টি ছক্কা এসেছে তাঁর ব্যাট থেকে। এ ছাড়া বলার মতো রান পেলেন লোগান ভ্যান বিক। ন’নম্বরে নেমে ২৮ বলে ২৮ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। ৩টি চার এবং ১টি ছয় মারেন। শেষ পর্যন্ত ৪১ ওভারে শেষ হয়ে যায় নেদারল্যান্ডসের ইনিংস।
পাকিস্তানের বোলারদের মধ্যে সফলতম রউফ। তিনি ৪৩ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন। ৩৩ রান খরচ করে ২ উইকেট হাসান আলির। ৩৭ রানে ১ উইকেট পেয়েছেন শাহিন। শাদাব, ইফতিকার আহমেদ, মহম্মদ নওয়াজ়েরাও ১টি করে উইকেট তুলে নিয়েছেন।