এই ক্যাচেই জন্টিকে মনে করালেন ডটিন। ছবি: টুইটার থেকে
১৯৯১-৯২ বিশ্বকাপে ক্রিকেট বিশ্বকে চমকে দিয়ে ছিলেন জন্টি রোডস। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন তারকার ফিল্ডিং তাক লাগিয়ে দিয়েছিল। পয়েন্ট বা গালি অঞ্চল দিয়ে প্রায় কোনও বলই গলে যেতে পারত না। বাজপাখির মতো উড়ে গিয়ে অবিশ্বাস্য দক্ষতায় তাঁর নেওয়া ক্যাচ এখনও চোখে ভাসে ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে।
সে বারের জন্টিকেই মনে করালেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের মহিলা ক্রিকেট দলের সদস্য দিয়ান্দ্রা ডটিন। বিশ্বকাপের ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে গালিতে ফিল্ডিং করছিলেন তিনি। শামিলিয়া কনেলের বল কাট করেছিলেন ইংল্যান্ডের ওপেনার লরেন উইনফিল্ড-হিল। নিশ্চিত বাউন্ডারি হওয়ার কথা। কিন্তু ডান হাতি ক্রিকেটার বাঁ দিকে গোলরক্ষকের মতো উড়ে গিয়ে এক হাতে দুরন্ত ক্যাচ নিলেন ক্যারিবিয়ান ব্যাটার। বিশ্বকাপের মঞ্চে ডটিনের এই ক্যাচ ক্রিকেটবিশ্বে ইতিমধ্যেই ভাইরাল।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ইনিংস ওপেন করেন ডটিন। চুলের বাহার অনেকটা ক্রিস গেইলের মতো। জামাইকার তারকার মতো স্পিন বলও করেন এই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। জন্টির দুরন্ত ফিল্ডিং দেখা গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডে আয়োজিত বিশ্বকাপে। কাকতালীয় হলেও এ বার মহিলাদের বিশ্বকাপও হচ্ছে নিউজিল্যান্ডে। দু’দেশের পুরুষ দল এই মুহূর্তে টেস্ট সিরিজ খেলছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টের প্রথম দিনেই চাপে জো রুটের দল। আর মহিলাদের বিশ্বকাপের ম্যাচে ক্যারিবিয়ানরা ৭ রানে হারিয়ে দিল ইংল্যান্ডকে। হতে পারে এটাও কাকতালীয়। কিন্তু ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটে এদিন আরও একবার আলোচনায় নিয়ে এলেন ৩০ বছরের ডটেন।
ঘরোয়া ক্রিকেটে বার্বাডোজের হয়ে খেলেন এই ব্যাটার অলরাউন্ডার। দেশের হয়ে এখনও পর্যন্ত ১৩৭টি এক দিনের ম্যাচে ৩৫৭১ রান করেছেন। তিনটি শতরান, ২১টি অর্ধশতরান রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। সর্বোচ্চ অপরাজিত ১৫০। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলেছেন ১২৪টি। ২৬৮১ করেছেন কুড়ি ওভারের আন্তর্জাতিকে। ১২টি অর্ধশতরানের পাশাপাশি রয়েছে দু’টি শতরান। সর্বোচ্চ অপরাজিত ১১২। একদিনের ক্রিকেট এবং টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিকে রয়েছেন যথাক্রমে ৭১টি এবং ৬১টি উইকেট। এক দিনের ম্যাচে সেরা বোলিং ৩৪ রানে পাঁচ উইকেট। আর কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে সেরা মাত্র পাঁচ রানে পাঁচ উইকেট। ২০০৮ সাল থেকে খেলছেন দেশের হয়ে।
বুধবার ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ব্যাট হাতেও ৩১ রান করেছেন ডটিন। প্রথমে ব্যাট করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ মহিলা দল করে ৬ উইকেটে ২২৫। সর্বোচ্চ রান শিমেন ক্যাম্পবেলের ৬৬। ইংল্যান্ডের সফলতম বোলার সোফি একলেস্টন ২০ রানে তিন উইকেট নেন। জবাবে ৪৭.৪ ওভারে ২১৮ রানে শেষ ইংল্যান্ড। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ রান ওপেনার ট্যামি বিউমন্টের ৪৬। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সফলতম বোলার শামিলিয়া কনেল ৩৮ রানে তিন উইকেট নিয়েছেন।