১১৪ রানে ছয় উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা ভারতীয় দলকে টেনে তোলেন স্নেহ রানা এবং পূজা বস্ত্রকার। ১১২ রানের জুটি গড়েন তাঁরা। স্নেহ করেন ৫৩ রান। পূজা ৬৭ রান করেন। শেষ মুহূর্তে ব্যাট করতে নেমে ৩ বলে ৬ রান করেন ঝুলন। একটি চার মারেন তিনি।
ঝুলন উইকেট নেওয়ার পর ভারতীয় দলের উচ্ছ্বাস। ছবি: এএফপি
পাকিস্তানকে ১০৭ রানে হারিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করল ভারত। ঝুলন গোস্বামী, মিতালি রাজদের দল হেলায় হারাল পাকিস্তানকে। রাজেশ্বরী গায়কোয়াড় নিলেন চার উইকেট। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বিরাট কোহলী, রোহিত শর্মারা পাকিস্তানের কাছে প্রথম ম্যাচে হেরে গিয়েছিলেন। কিন্তু মিতালিরা জয় দিয়েই শুরু করলেন এ বারের বিশ্বকাপের যাত্রা।
প্রথমে ব্যাট করে ২৪৪ রান তোলে ভারত। ওপেনার শেফালি বর্মা শূন্য রানে ফিরে গেলেও, অন্য ওপেনার স্মৃতি মন্ধানা করেন ৫২ রান। দীপ্তি শর্মার (৪০) সঙ্গে জুটি বেঁধে ৯২ রান তোলেন স্মৃতি। কিন্তু মাত্র দুই রানের ব্যবধানে তাঁরা ফিরতেই ধস নামে ভারতীয় ব্যাটিংয়ের মিডল অর্ডারে। রান পাননি মিতালি রাজ (৯), হরমনপ্রীত কৌর (৫) এবং বাংলার রিচা ঘোষ (১)।
১১৪ রানে ছয় উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা ভারতীয় দলকে টেনে তোলেন স্নেহ রানা এবং পূজা বস্ত্রকার। ১১২ রানের জুটি গড়েন তাঁরা। স্নেহ করেন ৫৩ রান। পূজা ৬৭ রান করেন। শেষ মুহূর্তে ব্যাট করতে নেমে ৩ বলে ৬ রান করেন ঝুলন। একটি চার মারেন তিনি।
ব্যাট করতে নেমে প্রথম দশ ওভারে উইকেট কোনও হারায়নি পাকিস্তান। এর পর একে একে পাকিস্তানের ব্যাটিংয়ে ধস নামাতে থাকে ভারত। মুখ্য ভূমিকা নেন রাজেশ্বরী এবং ঝুলন। ১০ ওভার বল করে ৩১ রান দিয়ে চারটি উইকেট নেন রাজেশ্বরী। ঝুলন ১০ ওভারে দিয়েছেন ২৬ রান, নিয়েছেন ২ উইকেট। স্নেহ রানাও দু’টি উইকেট নিয়েছেন। একটি করে উইকেট পেয়েছেন মেঘনা সিংহ এবং দীপ্তি শর্মা।
ম্যাচ শেষে অধিনায়ক মিতালি বলেন, ‘‘প্রথম ম্যাচ জিতে স্বস্তি লাগছে, তবে এখনও অনেক কিছু ঠিক করতে হবে। হেলায় উইকেট দিয়ে এলে চাপ তৈরি হয়। পূজা এবং স্নেহর ব্যাট আমাদের ম্যাচে ফিরিয়ে আনে। টপ অর্ডার রান পেয়েছে। স্নেহ, পূজা এবং দীপ্তিদের মতো অলরাউন্ডার থাকলে দলের দুই বিভাগই শক্তিশালী হয়।’’