মহম্মদ শামি। ছবি: পিটিআই।
বিশ্বকাপে সামলানো যাচ্ছে না মহম্মদ শামিকে। ছ’টি ম্যাচ খেলে তিনটিতেই ম্যান অফ দ্য ম্যাচ বাংলার জোরে বোলার। সেমিফাইনালে ৭ উইকেট তুলে নিয়ে ভারতকে ফাইনালে তুলে দিলেন বুধবার। ভারতের প্রথম বোলার হিসাবে বিশ্বকাপের ম্যাচে ৭ উইকেট নিয়ে খুশি হলেও একটি ব্যাপারে আক্ষেপ যাচ্ছে না তাঁর।
ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার নেওয়ার পর শামির গলায় আফসোস। তিনি বললেন, ‘‘কেন উইলিয়ামসনের ক্যাচটা আমার অবশ্যই ধরা উচিত ছিল। সহজ ক্যাচ ফেলা আমার উচিত হয়নি। ভীষণ খারাপ লাগছিল। তার পর আমার লক্ষ্য ছিল, কম গতিতে বল করা। কারণ ওদের মেরে খেলতেই হত। তাই জানতাম সুযোগ আসবেই। সেটাই চেষ্টা করেছি।’’
বুধবারের পর এ বারের বিশ্বকাপে ২৩ উইকেট নিয়ে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি শামি। কী ভাবে এমন সাফল্য? শামি বলেছেন, ‘‘সুযোগের অপেক্ষা করছিলাম। খুব বেশি সাদা বলের ক্রিকেট খেলার সুযোগ পাইনি। তবে সুযোগ পেলে কাজে লাগানোর চেষ্টা করি। লিগ পর্বে নিউ জ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধেই প্রথম সুযোগ পেয়েছিলাম। অনেকে বোলিংয়ে বৈচিত্র্যের কথা বলেন। কিন্তু আমার লক্ষ্য থাকে শুধু সঠিক জায়গায় বল ফেলা। আমি বিশ্বাস করি ঠিক জায়গায় বল রাখতে পারলে নতুন বলে উইকেট আসবেই। ম্যাচের যে কোনও সময়ই উইকেট আসতে পারে।’’
ওয়াংখেড়ের উইকেট থেকে কতটা সাহায্য পেলেন? শামির বক্তব্য, ‘‘উইকেট বেশ ভাল ছিল। দুপুরে ব্যাটারেরা প্রচুর রান করেছে। উইকেটে কোনও ঘাস রাখা হয়নি। শিশির পড়তে পারে, এমন একটা আশঙ্কা ছিল। তেমন হলে উইকেটে বল পিছলে ব্যাটারের কাছে যেত। তাতে রান তোলা আরও কিছুটা সহজ হত। খুব বেশি শিশির না পড়ায় সুবিধা হয়েছে। তবে সেমিফাইানালে এমন পারফরম্যান্স করতে পেরে সত্যিই দারুণ লাগছে।’’
এর পর ফাইনাল। কী লক্ষ্য থাকবে আপনার? শামি বলেছেন, ‘‘গত দু’টো বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠতে পারিনি আমরা। সেমিফাইনালে হারতে হয়েছে। তাই আমরা এ বার সুযোগ কাজে লাগাতে বদ্ধপরিকর ছিলাম। দলের কেউ চাইনি এ বারের সুযোগ নষ্ট করতে। যা যা সুযোগ আসবে, সব কাজে লাগাতে চাই আমরা।’’
বিশ্বকাপে ৫৪টি উইকেট হয়ে গেল শামির। বিশ্বের সপ্তম বোলার হিসাবে বিশ্বকাপে ৫০ উইকেটের মাইলফলকস্পর্শ করেছেন তিনি। ১৭ ম্যাচে ৫০ উইকেট পূর্ণ করেছেন। বিশ্বকাপে দ্রুততম ৫০ উইকেট নেওয়ার কীর্তিও গড়েছেন ওয়াংখেড়ের সেমিফাইনালে।