টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে শেষ বারের মতো ভারতের অধিনায়কত্ব করলেন বিরাট কোহলী। সোমবার নামিবিয়ার বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেই ম্যাচে নানা মেজাজে দেখা গেল তাঁকে।
ম্যাচের আগে বেশ ভাল ভাবেই গা ঘামাতে দেখা যায় কোহলীকে।
মেন্টর মহেন্দ্র সিংহ ধোনির সঙ্গে আলোচনাও সেরে নেন। সেই সময় দু’জনকেই হালকা মেজাজে দেখা যায়। দু’জনের মুখেই ছিল হাসি।
খেলা শুরুর ঠিক আগে কোহলীরা সবাই গোল হয়ে দাঁড়ান। কোচ রবি শাস্ত্রী সেই সময় সবাইকে উদ্বুদ্ধ করেন। কোচ হিসাবে শাস্ত্রীরও এটি শেষ ম্যাচ ছিল।
টসের সময় অন্য ম্যাচগুলির মতো এই ম্যাচেও কোহলীই কয়েন ঘোরান। নামিবিয়ার অধিনায়ক জেরহার্ড ইরাসমাস ছাড়াও ছিলেন ম্যাচ রেফারি জেফ ক্রো এবং ধারাভাষ্যকার ইয়ান বিশপ।
মাঠে নেমে কোহলী সবাইকে উদ্বুদ্ধ করেন। যেখানে আগেই বিদায় হয়ে গিয়েছে, সেখানে কী ভাবে নিজেদের মেলে ধরতে হবে, সেটিই বোঝান কোহলী।
জাতীয় সঙ্গীত হওয়ার আগে কোহলী টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে শেষ বারের মতো নিজে সামনে থেকে দল নিয়ে নামেন।
খেলা শুরুর আগে প্রথা মেনে বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সামিল হন। হাঁটু মুড়ে বসে বর্ণবিদ্বেষ বিরোধী প্রচার করেন।
মাঠেও সারাক্ষণ পরিচিত মেজাজেই দেখা যায়। যে ভাবে ফিল্ডারদের নির্দেশ দেন, সোমবারও সেই ভূমিকায় দেখা যায় বারবার।
উইকেট পড়ার সময় যশপ্রীত বুমরা, মহম্মদ শামি, রোহিত শর্মাদের সঙ্গে উল্লাস করতে দেখা যায়।
অন্য ম্যাচে অবশ্য কোহলীকে যতটা উচ্ছ্বাস করতে দেখা যায়, এই বিশেষ ম্যাচে তিনি তুলনায় বেশ খানিকটা নিষ্প্রভ ছিলেন।
বিদায়ী কোচ রবি শাস্ত্রী বুকে জড়িয়ে ধরেন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বিদায়ী অধিনায়ককে।
খেলা শেষ হওয়ার পর কোহলী ফের জড়িয়ে ধরেন সতীর্থদের।
প্রথা মেনে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এসে বক্তব্য রাখেন কোহলী।
নামিবিয়ার অধিনায়ক ইরাসমাস শুভেচ্ছা জানিয়ে যান কোহলীকে।