বাঁহাতি ব্যাটার হওয়ায় সুবিধা পান ঋদ্ধিমানের জায়গায় প্রথম একাদশে আসেন পন্থ। ফাইল ছবি।
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট অভিষেক হলেও ভারতের প্রথম একাদশে জায়গা পাকা ছিল না ঋষভ পন্থের। টেস্ট ক্রিকেটে সে সময় বিরাট কোহলী, রবি শাস্ত্রীদের প্রথম পছন্দ ছিলেন বাংলার ঋদ্ধিমান সাহা। কারণ, উইকেট রক্ষক হিসাবে অনেক এগিয়ে ছিলেন ঋদ্ধিমান। তা হলে কী ভাবে প্রথম একাদশে জায়গা করে নিলেন পন্থ? সে কথাই জানিয়েছেন ভারতীয় দলের প্রাক্তন ফিল্ডিং কোচ আর শ্রীধর।
২০২১ সালের অস্ট্রেলিয়া সফরের কথা বলেছেন শ্রীধর। প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৬ রানে অলআউট হয়ে যায় ভারত। আট উইকেটে হারতে হয় ম্যাচ। সেই টেস্টের পর ব্যক্তিগত কারণে দেশে ফিরে আসেন তৎকালীন অধিনায়ক কোহলী। পরের দু’টি টেস্টে নেতৃত্ব দেন সে সময়ের সহ-অধিনায়ক অজিঙ্ক রহাণে। শ্রীধর বলেছেন, ‘‘প্রথম টেস্টে ব্যাটিং বিপর্যয়ের পর আমরা আলোচনা করি। কী ভাবে অস্ট্রেলিয়ার বোলিং আক্রমণ এবং কৌশলের মোকাবিলা করা যায়, তা নিয়ে কথা হয়। দ্বিতীয় টেস্টের আগে কোহলীর দেশের ফিরে যাওয়ার ব্যাপারটা আরও চাপে রেখেছিল। তাই ব্যাটিং অর্ডার নিয়েও কথা হয়েছিল। তাতেই দেখা যায়, আমাদের প্রথম ছয় ব্যাটারের সকলেই ডানহাতি। এক জন বাঁহাতি ব্যাটারের প্রয়োজন ছিল।’’
শ্রীধর মেনে নিয়েছেন, বাঁহাতি হওয়ায় বাড়তি সুবিধা পেয়েছিলেন পন্থ। তিনি বলেছেন, ‘‘ঋদ্ধিমান তখন বিশ্বের অন্যতম সেরা উইকেট রক্ষক। ওকে বাদ দিয়ে টেস্ট খেলতে নামা সহজ ছিল না। তবু আমাদের ভাবতে হয়েছিল, তুলনায় ভাল ব্যাটারকে প্রথম একাদশে রাখা হবে, না ভাল উইকেট রক্ষককে।’’ আরও বলেছেন, ‘‘বাঁহাতি হিসাবেই দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম একাদশে আনা হয়েছিল পন্থকে। বাকিটা তো ইতিহাস। অস্ট্রেলিয়ার উইকেটে পন্থের আগ্রাসী ব্যাটিং সকলেই দেখেছিলেন। পরের তিনটে ম্যাচে ২৭৪ রান করেছিল পন্থ। গাব্বায় ৮৯ রানের অপরাজিত ইনিংসও ছিল। ব্যাটার পন্থ আমাদের দুরন্ত প্রত্যাবর্তন এবং সিরিজ জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা নিয়েছিল।’’
শ্রীধরের মতে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ওই সাফল্যের পর ভারতের টেস্ট দলের প্রথম একাদশেও জায়গা কার্যত পাকা হয়ে যায় পন্থের। উল্লেখ্য, প্রথম টেস্টে লজ্জার হারের পরেও দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন ঘটিয়ে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জেতে ভারত।