এ বারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সবার আগে সেমিফাইনালে চলে গিয়েছে পাকিস্তান। অথচ, প্রতিযোগিতা শুরুর আগে খুব বেশি মানুষ তাঁদের বিশেষ গুরুত্ব দেননি।
গ্রুপ পর্বে সব ম্যাচ জিতে সেমিফাইনালে উঠেছে পাকিস্তান। তারাই একমাত্র দল, যারা সব ম্যাচ জিতে শেষ চারে পৌঁছেছে।
পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম বিশ্বকাপ শুরুর আগেই বলেছিলেন, প্রথম ম্যাচে যদি ভারতকে হারিয়ে দিতে পারেন, তা হলে তাঁদের আটকানো কঠিন।
ঠিক সেটিই হয়েছে। প্রথম ম্যাচেই বিরাট কোহলীর ভারতকে বিশাল ব্যবধানে হারায় পাকিস্তান।
কোহলীরা ওই ম্যাচে দাঁড়াতেই পারেননি। পাকিস্তান দুই ওভারেরও বেশি বাকি থাকতে ১০ উইকেটে জেতে।
কোহলীরা টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৫১ রান তোলে। কোহলী ৫৭, ঋষভ পন্থ ৩৯ রান করেন। শাহিন আফ্রিদি ৩টি, হাসান আলি ২টি উইকেট নেন।
এরপর যশপ্রীত বুমরা, মহম্মদ শামি, ভুবনেশ্বর কুমার, বরুণ চক্রবর্তী, রবীন্দ্র জাডেজারা পাকিস্তানের একটি উইকেটও ফেলতে পারেননি।
ওপেন করতে নেমে পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম ৫২ বলে ৬৮ রান করে এবং মহম্মদ রিজওয়ান ৫৫ বলে ৭৯ রান করে অপরাজিত থাকেন। ১৭.৫ ওভারে কোনও উইকেট না হারিয়ে জিতে যায় পাকিস্তান।
পরের ম্যাচও কঠিন ছিল। কিন্তু সেই ম্যাচেও নিউজিল্যান্ডকে সহজে হারায় পাকিস্তান। কোহলীদের হারিয়ে আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে উঠে যাওয়া পাকিস্তান ৮ বল বাকি থাকতে ৫ উইকেটে জেতে।
প্রথমে ব্যাট করে নিউজিল্যান্ড ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৩৪ রান তোলে। হ্যারিস রউফ ৪ উইকেট নেন। জবাবে পাকিস্তান ১৮.৪ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায়।
গ্রুপের শেষ তিন ম্যাচে আফগানিস্তান, নামিবিয়া এবং স্কটল্যান্ডকে হারাতে সমস্যা হয়নি পাকিস্তানের।
আফগানিস্তানকে এক ওভার বাকি থাকতে পাঁচ উইকেটে, নামিবিয়াকে ৪৫ রানে এবং স্কটল্যান্ডকে ৭২ রানে হারায় পাকিস্তান।
গ্রুপ ২-এ শীর্ষ স্থানে থেকে পাকিস্তান শেষ চারে উঠেছে। আগামী বৃহস্পতিবার সেমিফাইনালে তাদের সামনে গ্রুপ ১ রানার্স অস্ট্রেলিয়া।