জো রুট। —ফাইল চিত্র।
তিনিই তৈরি করেছেন ডিআরএস প্রযুক্তি। সেই প্রযুক্তি নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। মাঝেমধ্যেই অনেক ক্রিকেটারকে ডিআরএসের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে দেখা যায়। তার সর্বশেষ সংযোজন জো রুটের আউট। রাঁচীতে ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংসে যে রুট সত্যিই আউট ছিলেন, না কি আম্পায়ার ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। সেই বিষয়ে এ বার মুখ খুললেন পল হকিন্স। হকআই প্রযুক্তি তাঁরই তৈরি। এই প্রযুক্তির মাধ্যমেই বোঝা যায় যে এলবিডব্লিউয়ের ক্ষেত্রে বল উইকেটে লেগেছে কি না।
ঘটনাটি ঘটেছিল ইংল্যান্ডের ইনিংসের ১৭তম ওভারে। রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বল গিয়ে লাগে রুটের প্যাডে। আবেদন করে ভারত। আম্পায়ার কুমার ধর্মসেনা প্রথমে আউট দেননি। খালি চোখে দেখে মনে হচ্ছিল, বল লেগ স্টাম্পের বাইরে পড়েছে। ভারত রিভিউ নেয়। তাতে দেখা যায়, ১ মিলিমিটারের কম তফাতে বল স্টাম্প লাইনে পড়েছে ও লেগ স্টাম্পে লেগেছে। ফলে আম্পায়ার নিজের সিদ্ধান্ত বদল করেন। রুট এই সিদ্ধান্ত মানতে পারেননি। ইংল্যান্ড শিবিরও ডিআরএস নিয়ে প্রশ্ন তোলে।
এই বিতর্কের জবাব দিয়েছেন হকিন্স। তিনি বলেন, “এই প্রযুক্তিতে তিনটি প্রশ্নের উত্তর খোঁজা হয়। এক, বল পিচে কোথায় পড়েছে? দুই, বল প্যাডে কোথায় লেগেছে? তিন, প্যাড ও স্টাম্পের মধ্যে কতটা দূরত্ব রয়েছে? পিচে বা ব্যাটারের প্যাডে লাগার সময় বলের ৫০ শতাংশের বেশি যে দিকে থাকে সে দিকের হিসাব হয়। স্টাম্পের ক্ষেত্রেও তাই।”
এখানেই থেমে থাকেননি হকিন্স। তিনি আরও বলেন, “প্রযুক্তি এমন ভাবে তৈরি যদি বল লেগ স্টাম্পের বাইরে পড়ত, অর্থাৎ বলের ৫০ শতাংশের বেশি লেগ স্টাম্পের বাইরে থাকত তা হলে সেটা বোঝা যেত। সবুজ আলো জ্বলে উঠত। সাধারণত, মিলিমিটারের ভগ্নাংশে এর হিসাব হয়। তাই এই প্রযুক্তি ভুল হতে পারে না। রুটের ক্ষেত্রে বলের ৫০ শতাংশের বেশি পিচের মধ্যে ছিল। তাই আম্পায়ার ঠিকই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।”
টেস্ট সিরিজ় ইতিধ্যেই ৩-১ জিতে গিয়েছে ভারত। ৭ মার্চ থেকে ধর্মশালায় পঞ্চম টেস্ট খেলতে নামবে দু’দল। সেই টেস্ট জিতে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট তালিকায় আরও এগিয়ে যেতে চাইছেন রোহিত শর্মারা।