হার্দিক পাণ্ড্য। —ফাইল চিত্র
ভারতীয় ক্রিকেটে এখন বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে হার্দিক পাণ্ড্যকে ঘিরে। কবে জাতীয় দলের জার্সিতে দেখা যাবে এই অলরাউন্ডারকে? শনিবার সেই প্রশ্নের জবাব পাওয়া গেল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সচিব জয় শাহের কাছ থেকে। তিনি জানিয়েছেন, পরের বছর জানুয়ারিতে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজ়ে দেখা যেতে পারে হার্দিককে।
শনিবার মুম্বইয়ে মহিলাদের প্রিমিয়ার লিগ (ডব্লিউপিএল) নিলামের পরে সাংবাদিকদের জয় শাহ বলেন, ‘‘হার্দিকের উপরে আমরা প্রতিদিন নজর রেখে চলেছি। ও এখন জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে রয়েছে। ফিট হওয়ার জন্য পরিশ্রম করে চলেছে। হার্দিক সুস্থ হয়ে গেলেই আপনাদের জানিয়ে দেব। পরের মাসে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজ়ে ও দলে ফিরতে পারে।’’
হার্দিক চোট পেয়ে যাওয়ায় জল্পনা শুরু হয়েছিল, তা হলে কি পরের বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে রোহিত শর্মাকে আবার অধিনায়ক হিসেবে দেখা যাবে? বোর্ড সচিব এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হলেন না। তিনি বলেছেন, ‘‘টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পরের বছর জুনে। আমাদের হাতে অনেক সময় আছে। এখনই এই নিয়ে কথা বলার কোনও মানে হয় না।’’
বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার মাস খানেকের মধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা সফর। ভারতীয় দলের কোচ হিসেবে রাহুল দ্রাবিড়ের মেয়াদ বাড়লেও তাঁর এবং বাকি সাপোর্ট স্টাফের চুক্তি কত দিন পর্যন্ত হবে, তা নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। জয় শাহ বলেছেন, ‘‘আমরা কোচ এবং বাকি সাপোর্ট স্টাফের মেয়াদ বাড়িয়েছি। কিন্তু চুক্তি এখনও চূড়ান্ত করিনি। বিশ্বকাপের পরে আমাদের হাতে একদমই সময় ছিল না। আমি দ্রাবিড় এবং বাকিদের সঙ্গে বসেছিলাম। এ বার দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ওরা ফিরে এলে চুক্তি চূড়ান্ত হবে।’’ বোর্ডের নিজস্ব জমিতে যে নতুন এনসিএ তৈরির কাজ চলছে, তা এখন প্রায় শেষের দিকে। বোর্ড সচিব বলেছেন, ‘‘অগস্ট মাসের মাঝামাঝি আমরা বেঙ্গালুরুতে নতুন জাতীয় অ্যাকাডেমি চালু করব। জম্ম-কাশ্মীর এবং ভারতের উত্তরপূর্ব অঞ্চলেও নতুন অ্যাকাডেমি গড়ার কাজ চলছে। অগস্টের মাঝামাঝি জম্মু-কাশ্মীরে অ্যাকাডেমি চালু হয়ে যাবে।’’
আন্তর্জাতিক মঞ্চে মহিলা ক্রিকেটের প্রসার হতে গেলে যে সব বোর্ডকেই এগিয়ে আসতে হবে, তা জানিয়েছেন জয় শাহ। পুরুষ এবং মহিলা ক্রিকেটারদের ক্ষেত্রে সমপরিমান ম্যাচ ফি চালু করেছে ভারতীয় বোর্ড। কিন্তু জয় শাহ মানেন, মেয়েদের উপার্জন বৃদ্ধি পেতে গেলে হরমনপ্রীত কৌরদের ম্যাচের সংখ্যাও বাড়াতে হবে। বোর্ড সচিবের মন্তব্য, ‘‘উপার্জনের ক্ষেত্রে ম্যাচের সংখ্যা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। মেয়েদের ম্যাচের সংখ্যা বাড়াতে গেলে সব বোর্ডকেই এগিয়ে আসতে হবে। আমি একা কথা বললে কিছু হবে না।’’ যোগ করেন, ‘‘ভারত, অস্ট্রেলিয়া এবং ইংল্যান্ড বোর্ড মেয়েদের ম্যাচের ব্যবস্থা করছে। কিন্তু বাকি বোর্ডগুলো এগিয়ে না এলে লাভ নেই। সবাই মিলে কাজ করলে মেয়েদের ম্যাচের সংখ্যা বাড়বে।’’