Drona Desai

ইনিংসে ৪৯৮ রান সচিন-ভক্ত দ্রোণের, ভারতের পাঁচ ব্যাটারের এই নজির আছে, কোন পাঁচ জন?

স্কুল ক্রিকেটে নজির গড়েছেন গুজরাতের কিশোর দ্রোণ দেশাই। ৪৯৮ রানের ইনিংস খেলেছেন তিনি। দ্রোণ ছাড়াও আরও পাঁচ জনের এই নজির রয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৫:৪২
Share:

দ্রোণ দেশাই। —ফাইল চিত্র।

স্কুল ক্রিকেটে আবার ম্যারাথন ইনিংস। এ বার ব্যাটারের নাম দ্রোণ দেশাই। গুজরাতের কিশোর দ্রোণ ৪৯৮ রানের ইনিংস খেলেছেন। দ্রোণ ছাড়াও আরও পাঁচ জনের এই নজির রয়েছে। তাঁরা প্রত্যেকে এক ইনিংসে ৪০০ রানের বেশি করেছেন।

Advertisement

গুজরাত ক্রিকেট সংস্থার অধীনে আমদাবাদের কেন্দ্রীয় ক্রিকেট বোর্ডের আয়োজিত দিওয়ান বল্লুভাই কাপে সেন্ট জেভিয়ার্স স্কুলের হয়ে খেলতে নেমে এই নজির গড়েছেন দ্রোণ। জেএল ইংলিশ স্কুলের বিরুদ্ধে ৩২০ বলে ৪৯৮ রান করেছেন তিনি। ৮৬টি চার ও সাতটি ছক্কা মেরেছেন এই ব্যাটার। তাঁর ব্যাটে প্রতিপক্ষকে ইনিংস ও ৭১২ রানে হারিয়েছে সেন্ট জেভিয়ার্স।

সময়ের মধ্যে এক ক্রিকেটার না পৌঁছনোয় ১০ জন ক্রিকেটার নিয়ে মাঠে নামতে হয় জেএল ইংলিশ স্কুলকে। তার সুবিধা নেন দ্রোণ। মাঠের চার দিকে শট মেরেছেন তিনি। কোনও বোলারকেই রেয়াত করছিলেন না। ৫০০ রান করার সুযোগ ছিল। কিন্তু দু’রান আগেই আউট হয়ে যান। সেই কারণেই রেগে গিয়েছেন দ্রোণ। খেলা শেষে তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “আমি বুঝতেই পারিনি যে ৫০০ রানের কাছে পৌঁছে গিয়েছি। কোনও স্কোরবোর্ড ছিল না। সতীর্থেরা কেউ আমাকে জানায়নি। ওদের আমাকে বলা উচিত ছিল। ৫০০ রান একটা মাইলফলক। সেটা হল না। আমি বড় শট মারার চেষ্টা করতে গিয়ে আউট হয়েছি। জানতে পারলে ৫০০ রান করতাম। সেটা হল না। তাই রাগ হচ্ছে। এমন সুযোগ তো বার বার আসে না।”

Advertisement

৫০০ রান না করতে পারলেও ভারতের ষষ্ঠ ব্যাটার হিসাবে ৪০০ রান পার করেছেন দ্রোণ। তাঁর আগে যাঁরা এই কীর্তি করেছেন তাঁরা হলেন— প্রণব ধনওয়াড়ে (১০০৯ অপরাজিত), পৃথ্বী শ (৫৪৬), দাদাভয় হাভেওয়াল্লা (৫১৫), চমনলাল মলহোত্র (৫০২ অপরাজিত) ও আরমান জাফর (৪৯৮)। ২০১৬ সালে মহারাষ্ট্রের কেসি গান্ধী হাই স্কুলের হয়ে ৩২৭ বলে ১০০৯ রান করেছিলেন প্রণব। ১২৯টি চার ও ৫৯টি ছক্কা মেরেছিলেন তিনি। ২০১৩ সালে মুম্বইয়ের আজাদ ময়দানে হ্যারিস শিল্ডের ম্যাচে রিজ়ভি স্প্রিংফিল্ডের হয়ে খেলার সময় ৩৩০ বলে ৫৪৬ রান করেন পৃথ্বী। ৮৫টি চার ও পাঁচটি ছক্কা মারেন তিনি। ১৯৩৩ সালে তৎকালীন বম্বের একটি লিগে ৫১৫ রান করেছিলেন হাভেওয়াল্লা। ৫৬টি চার ও ৩২টি ছক্কা মারেন তিনি। ১৯৫৬ সালে পাতিয়ালার মহিন্দ্র কলেজের হয়ে একটি ম্যাচে ৫০২ রান করেছিলেন চমনলাল। ২০১০ সালে মুম্বইয়ের জাইলস শিল্ড প্রতিযোগিতায় রিজ়ভি স্প্রিংফিল্ডের হয়ে খেলার সময় ৪৯৮ রান করেছিলেন আরমান। ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার ওয়াসিম জাফরের ভাইপো তিনি। সেই তালিকায় এ বার যোগ দিলেন দ্রোণ।

ছোট থেকেই সচিনের ভক্ত ছিলেন দ্রোণ। তাঁর ভালবাসা ও প্রতিভা দেখে বাবা তাঁকে স্থানীয় কোচ জয়প্রকাশ পটেলের কাছে নিয়ে যান। সেখানেই বেড়ে ওঠা দ্রোণের। সেই কারণে ৪৯৮ রানের ইনিংস খেলার পরে বাবার কথা বলেছেন দ্রোণ। তিনি বলেন, “বাবা বুঝতে পেরেছিল যে আমার মধ্যে প্রতিভা আছে। তাই জেপি স্যরের কাছে আমাকে নিয়ে গিয়েছিল। তার পর থেকে ক্রিকেটই আমার জীবন। অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত আমি শুধু পরীক্ষার সময় স্কুলে গিয়েছি। বাকি সময় শুধু ক্রিকেট খেলেছি।”

স্কুল ক্রিকেটে ভাল খেলায় গুজরাতের অনূর্ধ্ব-১৪ দলে খেলেছেন দ্রোণ। এ বার তাঁর লক্ষ্য রাজ্যের অনূর্ধ্ব-১৯ দলে খেলা। ধীরে ধীরে এগোতে চান তিনি। সেই পথেই দেখা গেল ৪৯৮ রানের ইনিংস।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement