Haris Rauf

খাবার বিক্রি করা থেকে পাকিস্তানের পেস ভরসা রউফ

রউফ জানিয়েছেন, কী ভাবে টেপ বল ক্রিকেট খেলে তিনি অর্থ উপার্জন করেছেন। টেপ বল ক্রিকেট পাকিস্তানে অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি খেলা। ক্যাম্বিস বলের উপরে ইলেক্ট্রিকাল টেপ জড়িয়ে খেলা হয়।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০২৩ ০৬:৪৪
Share:

তৃপ্তি: নেটে কোহলিকে বোলিং ভুলতে পারেননি রউফ। ছবি:  টুইটার।

বিশ্বকাপে পাকিস্তান বোলিংয়ের অন্যতম সেরা অস্ত্র তিনি। শুরুতে হোক কী শেষে, হ্যারিস রউফের হাতে বল তুলে দিতে দ্বিধা করেন না অধিনায়ক বাবর আজ়ম। সেই রউফ একটি তথ্যচিত্রে জানিয়েছেন, একটা সময় কী ভাবে বাজারে খাবার বিক্রি করে নিজের খরচ চালিয়েছেন।

Advertisement

ওই তথ্যচিত্রে রউফ বলেছেন, ‘‘ম্যাট্রিকের পরে আমি বাজারে গিয়ে খাবার বিক্রি করতাম খরচ জোগানোর জন্য। রবিবার এই কাজটা করতাম। তাতে আমার পড়াশোনা আর অ্যাকাডেমির খরচটা উঠে আসত।’’ এর পরে রউফ জানিয়েছেন, কী ভাবে টেপ বল ক্রিকেট খেলে তিনি অর্থ উপার্জন করেছেন। টেপ বল ক্রিকেট পাকিস্তানে অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি খেলা। ক্যাম্বিস বলের উপরে ইলেক্ট্রিকাল টেপ জড়িয়ে খেলা হয়। রউফ বলেছেন, ‘‘আমি যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হই, তখন আমার বাবা সে রকম কিছু উপার্জন করতেন না। ফলে ওঁর পক্ষে সম্ভব হচ্ছিল না মাইনে দেওয়া। আমিও সে রকম উপার্জন করছিলাম না। তার পরে আমি টেপ বল ক্রিকেট খেলা শুরু করি।’’

এই টেপ বল ক্রিকেটই রউফের বাঁচার রাস্তা হয়ে দাঁড়ায়। ২৯ বছর বয়সি পাক পেসার বলেছেন, ‘‘টেপ বল ক্রিকেট খেলা শুরু করার পর থেকে আর সমস্যা হয়নি। আমার হাতে অর্থ চলে আসে।’’ পাকিস্তানের অলিতে-গলিতে এই খেলা জনপ্রিয়। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট না খেলা খেলোয়াড়রাও এই টেপ বল খেলে অনেক অর্থই উপার্জন করতে পারেন। রউফের কথায়, ‘‘পাকিস্তানে যারা পেশাদার টেপ বল ক্রিকেট খেলে, তারা দু’থেকে আড়াই লাখ রোজগার করতে পারে। আমিও ওই রকমই রোজগার করতাম। পুরো টাকাটাই মায়ের হাতে তুলে দিতাম। বাবাকে কখনও বলিনি, এত রোজগার করছি।’’

Advertisement

ছোটবেলার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে রউফ বলেছেন, ‘‘আমার বাবার তিন ভাই ছিল। কাকাদের বিয়ের পরে বাবা ওঁর ঘরটা ছেড়ে দেন। এমন অবস্থা দাঁড়ায় যে, আমরা একটা সময় রান্নাঘরে ঘুমোতাম।’’

অতীতে ভারতের অস্ট্রেলিয়া সফরে নেটে বিরাট কোহলিকে বল করেছিলেন হ্যারিস রউফ। তথ্যচিত্রে সেই অভিজ্ঞতার কথাও তুলে ধরেছেন তিনি। বলেছেন, ‘‘নেটে বিরাটকে বল করার সময় মনে হত, ও জানত, বল ব্যাটের ঠিক কোন জায়গায় লাগবে। তখনই বুঝেছিলাম, নেট প্র্যাক্টিসের সময়ও বিরাটের মনঃসংযোগ কোন পর্যায়ের থাকে।’’ যোগ করেন, ‘‘নেটে ব্যাট করার সময়ও মনে হত, বিরাটের বিরুদ্ধে একটা ম্যাচ খেলছি। তখনই বুঝে গিয়েছিলাম, বিরাট কেন সেরাদের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে।’’

শেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মেলবোর্নে রউফের বলে পর পর দু’টো ছয় মেরে ভারতকে ম্যাচ জিতিয়েছিলেন বিরাট। রউফের মন্তব্য, ‘‘বিরাট যা ব্যাট করেছিল, তা ভোলা যাবে না। যে দু’টো ছয় মেরেছিল, তা অন্য কোনও ব্যাটসম্যানের পক্ষে মারা সম্ভব হত না।’’ এর পরে রউফ এও বলেন, ‘‘যদি দীনেশ কার্তিক বা হার্দিক পাণ্ড্য ওই দু’টো ছয় মারত, তা হলে খুব কষ্ট পেতাম। কিন্তু বিরাট অন্য পর্যায়ের ক্রিকেটার।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement