নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে কানপুরে শ্রেয়স আয়ার যে নামছেন, তা আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন অজিঙ্ক রহাণে। বৃহস্পতিবার সুনীল গাওস্করের হাত থেকে টুপি নিয়ে সাদা জামা পরে মাঠে নেমে পড়লেন মুম্বইয়ের এই ব্যাটার।
বিরাট কোহলী না থাকায় দলে নেওয়া হয়েছে শ্রেয়সকে। প্রথম ম্যাচেই অর্ধশতরান করলেন তিনি।
তবে বছরের শুরুটা এত সুখের ছিল না শ্রেয়সের জন্য। পুণেতে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে এক দিনের ম্যাচ খেলার সময় কাঁধে চোট পান তিনি। আইপিএল-এর প্রথম পর্বে খেলতেও পারেননি।
ইংল্যান্ডে কাঁধের অস্ত্রোপচার করা হয় শ্রেয়সের। ল্যাঙ্কশায়ারের হয়ে রয়্যাল লন্ডন কাপে খেলার কথা থাকলেও তা সম্ভব হয়নি। আইপিএল-এ তাঁর বদলে দিল্লির অধিনায়কত্ব করেন ঋষভ পন্থ।
চোটের জন্য দীর্ঘ সময় ক্রিকেট থেকেই দূরে সরে থাকতে হয় শ্রেয়সকে। আইপিএল-এর দ্বিতীয় পর্বে দলে ফেরেন তিনি। তবে অধিনায়ক রাখা হয় পন্থকেই।
ব্যাটার হিসেবে এ বারের আইপিএল-এ আট ম্যাচে ১৭৫ রান করেন শ্রেয়স। গড় ছিল ৩৫। বিশ্বকাপের দলে যদিও প্রথম ১৫ জনের মধ্যে জায়গা করতে পারেননি। রিজার্ভে রাখা হয় এই মিডল অর্ডার ব্যাটারকে।
টেস্টে ভারতের ৩০৩তম ক্রিকেটের হিসেবে দলে এলেন শ্রেয়স। পরলেন ৪১ নম্বর জার্সি। হাসপাতালের বিছানা থেকে উঠে এসে এই সাফল্য নিজেও বেশ উপভোগ করছেন শ্রেয়স।
ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেন শ্রেয়স। সেখানে দেখা যাচ্ছে হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে রয়েছেন তিনি। সেখান থেকে ছবিটি পাল্টে যাচ্ছে তাঁর টেস্ট জার্সিতে।
ভারতের হয়ে ২২টি একদিনের ম্যাচ খেলেছেন শ্রেয়স। ২০টি ইনিংসে করেছেন ৮১৩ রান। রয়েছে একটি শতরানও।
টি২০ ক্রিকেটে ভারতের হয়ে ৩২টি ম্যাচ খেলেছেন শ্রেয়স। করেছেন ৫৮০ রান। টি২০-তে তাঁর গড় ২৭.৬১। সাদা বলের ক্রিকেটের নির্ভরযোগ্য মিডল অর্ডার ব্যাটারকে এ বার টেস্ট দলেও নিয়ে এল ভারত।