ICC world Cup 2011

‘ঘর ভাঙল’ ধোনিদের, ২০১১ বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের চার জন তিন রাজনৈতিক দলে, শেষ সংযোজন তৃণমূলের পাঠান

২০১১ বিশ্বকাপজয়ী দলে ‘ভাঙন’। ক্রিকেটীয় সংহতিতে থাবা বসিয়েছে রাজনীতি। তিন রাজনৈতিক দলে নাম লিখিয়েছেন ধোনির চার সতীর্থ। রাজনীতির প্রত্যক্ষ ছোঁয়া এড়িয়ে আইনসভায় গিয়েছেন সচিন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ মার্চ ২০২৪ ১৮:৪২
Share:

রবিবার তৃণমূলের জনগর্জন সভায় ইউসুফ পাঠান। ছবি: পিটিআই।

দল বেঁধে দেশকে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন করেছিলেন তাঁরা। মহেন্দ্র সিংহ ধোনির সেই সুখের সংসারে রাজনীতি থাবা বসিয়েছে অনেক আগেই। ২০১৬ সালে প্রথম বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন শ্রীসন্থ। তার পর রাজনীতিতে এসেছেন গৌতম গম্ভীর, হরভজন সিংহ। আর রবিবার রাজনীতিতে নামলেন ইউসুফ পাঠান।

Advertisement

তৃণমূল কংগ্রেসের জনগর্জন সভা থেকে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের জন্য রাজ্যের ৪২ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের শাসক দলের প্রার্থিতালিকায় সব থেকে বড় চমক ইউসুফ। বিদায়ী লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরীর আসনে বহরমপুরে প্রার্থী বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটার। ইউসুফকে মমতা এনেছেন নরেন্দ্র মোদীর গুজরাত থেকে।

তৃণমূল নেত্রীর ঘোষণায় ২০১১ সালের বিশ্বকাপ জয়ী ভারতীয় দলে রাজনীতির নতুন রং লেগেছে। ২০১৬ সালে কেরলের বিধানসভা নির্বাচনে তিরুঅনন্তপুরম থেকে বিজেপি প্রার্থী হয়েছিলেন শ্রীসন্থ। কংগ্রেস প্রার্থীর কাছে হেরে গিয়েছিলেন ১১,৭১০ ভোটে। তাঁর পর রাজনীতিতে পা রাখেন গম্ভীর। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে পূর্ব দিল্লি আসন থেকে নির্বাচনে প্রার্থী হন। প্রথম বার রাজনীতির ময়দানে নেমেই সাফল্যের স্বাদ পেয়েছিলেন ২০১১ বিশ্বকাপ সেমিফাইনাল, ফাইনালের নায়ক। নিকটবর্তী প্রতিপক্ষকে গম্ভীর হারিয়েছিলেন ৬ লাখ ৯৫ হাজার ১০৯ ভোটে।

Advertisement

এ পর্যন্ত বিশ্বকাপজয়ী ভারতীয় দলে ছিল গেরুয়া রাজনীতির ছোঁয়া। তাতে নীল রং ঢেলে দেন হরভজন সিংহ। ২০২২ সালের মার্চে তিনি পঞ্জাব থেকে আম আদমি পার্টির প্রার্থী হয়েছিলেন। জয়ও পেয়েছিলেন হরভজন। এখনও তিনি রাজ্যসভার সাংসদ। শেষে রাজনীতিতে পা রাখলেন ইউসুফ। ধোনির বিশ্বজয়ী দলে যুক্ত হল রাজনীতির নতুন রং।

গম্ভীর, হরভজন আইনসভায় পা রেখেছেন। গম্ভীর আর ফিরতে চান না। বিজেপি নেতৃত্বের কাছে সব রকম রাজনৈতিক দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চেয়েছেন কিছু দিন আগেই। ক্রিকেট নিয়েই থাকতে চাইছেন। হরভজন আরও চার বছর (রাজ্যসভার মেয়াদ ছ’বছর) আইনসভায় থাকবেন। আইনসভার সদস্য হয়েছেন ২০১১-র বিশ্বজয়ী দলের আরও এক সদস্য। তিনি সচিন তেন্ডুলকর। ভারতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়ককে অবশ্য রাজনীতির ঘোলা জলে পা ভেজাতে হয়নি। তিনি রাজ্যসভায় রাষ্ট্রপতি মনোনিত সদস্য হয়েছিলেন। ২০১২ সালের ৪ জুন তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করিয়েছিলেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাতিল। সেই হিসাবে ২০১১-র বিশ্বকাপজয়ী দলের প্রথম সদস্য হিসাবে আইনসভায় পা রেখেছিলেন সচিনই। তাঁর মনোয়নের নেপথ্যেও কেন্দ্রের শাসক দলের ভূমিকা ছিল বলে মনে করা হয়।

শ্রীসন্থ নির্বাচনে লড়লেও এখনও আইনসভায় পা রাখতে পারেননি। শোনা যাচ্ছে, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের শশী থারুরের বিরুদ্ধে কেরলের তিরুঅনন্তপুরম কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী হতে পারেন। আর পাঠানকে লড়তে হবে কংগ্রেসের অভিজ্ঞ নেতার বিরুদ্ধে।

এক জোট বেধে বিশ্বকাপ জেতা ধোনির দলের ক্রিকেটারেরা রাজনৈতিক ভাবে এখন বিভিন্ন দিকে। কারও আস্থা মোদীতে, কারও মমতায় আবার কারও অরবিন্দ কেজরিওয়ালে। কিছু দিন আগে শোনা যাচ্ছিল বিজেপির হয়ে লোকসভা নির্বাচনে দাঁড়াতে পারেন ধোনির বিশ্বজয়ী দলের অন্যতম নায়ক যুবরাজ সিংহ। শেষ পর্যন্ত তিনি প্রার্থী হতে রাজি হননি। ধোনি এখনও আইপিএল খেলছেন। তাঁর নেতৃত্বে খেলা চার ক্রিকেটার নেমে পড়েছেন রাজনীতির ময়দানে। ক্ষমতার অলিন্দে ভেঙেছে ধোনিদের ঘর।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement