প্রশংসা: বিরাটের মানসিকতা মুগ্ধ করে ভিভকে। —ফাইল চিত্র।
ক্রিকেট সাম্রাজ্যে দু’জনেই রাজা। এক জন অতীতে বোলারদের শাসন করতেন, অন্য জন এখনও করে চলেছেন। এই দুই কিংবদন্তি হলেন ভিভিয়ান রিচার্ডস এবং
বিরাট কোহলি।
অতীতে দু’জনের বক্তব্যের মধ্যে দিয়েই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল পরস্পরের প্রতি পরস্পরের শ্রদ্ধাটা। এ বার বিরাট নিয়ে আবার মুখ খুললেন ভিভ। আইসিসিকে তিনি জানালেন, বিরাটকে কতটা ভালবাসেন। তাঁর সঙ্গে বিরাটের যে তুলনা হয়, তা নিয়েও কথা বলেছেন
ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তি।
আইসিসির ওয়েবসাইটে তুলে ধরা এক ভিডিয়োয় ভিভ বলেছেন, ‘‘আমাদের চরিত্রের মধ্যে মিল আছে। খুব দৃঢ়প্রতিজ্ঞ, আগুনে এবং মাঝে মাঝে মেজাজ হারায়। এই চারিত্রিক ব্যাপারগুলো আপনি ভিভ রিচার্ডসের মধ্যেও পাবেন। যে কারণে যারা আবেগ দিয়ে ক্রিকেটটা খেলে, আমি তাদের খুব ভালবাসি।’’
এখানেই শেষ নয়। বিরাটের চারিত্রিক দিকের প্রশংসা করে ভিভ আরও বলেছেন, ‘‘বিরাটকে নিয়ে আর কী বলব? অনেক প্রশংসাসূচক কথা ওর সম্পর্কে বলা যায়! ও বিশ্বাস করে, ঠিক সময় ঠিক কাজটা হয়ে যাবে। বিরাটের এই বিশ্বাসটা আছে। আমিও কিন্তু এই বিশ্বাসটা রাখি। সে জন্যই আমি বুঝতে পারি, বিরাটের সঙ্গে কেন আমার তুলনা করা হয়।’’
বিরাট কোহলি মানেই যে শুধু আগুনে এক চরিত্র, তা কিন্তু নয়। বিরাট কোহলি মানে ফিটনেসেরও শেষ কথা। যে ফিটনেস তিনি বছরের পর বছর ধরে রেখেছেন। কোহলির আমলেই ইয়ো-ইয়ো পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল ভারতীয় দলে। যে পরীক্ষার মাধ্যমে ক্রিকেটারদের শারীরিক সক্ষমতার স্পষ্ট ছবিটা পাওয়া যায়। সেই পরীক্ষা এখনও দিয়ে চলেছেন বিরাট। আর বুঝিয়ে দিচ্ছেন, ফিটনেসের ব্যাপারে বরাবরের মতো তিনি এখনও সবারই আগে আছেন।
এশিয়া কাপের জাতীয় শিবিরে যোগ দিয়ে বিরাট স্বয়ং সেই পরীক্ষা দিলেন। এবং ৩৪ বছর বয়সি প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক ফিটনেসে একেবারে পুরো নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ হলেন। আর সেটা নিজেই জানিয়ে দিলেন সমাজমাধ্যমে।
বিরাট স্কোর করেছেন ১৭.২। যে স্কোর করে বিরাট ইনস্টাগ্রামে নিজের একটা ছবি দিয়ে লিখেছেন, ‘‘চ্যালেঞ্জ নিয়ে ইয়ো-ইয়ো টেস্টে পাস করার মজাই আলাদা। স্কোর ১৭.২। ও ১৭.২ বিরাটের সর্বোচ্চ ইয়ো-ইয়ো স্কোর নয়। এর আগে তিনি ১৯ পয়েন্ট তোলেন। কিন্তু ভারতীয় দলের মাপকাঠি যেখানে ১৬, সেখানে বিরাট বুঝিয়ে দিচ্ছেন তিনি
এখনও কতটা ফিট।