—প্রতীকী চিত্র।
১২ বছরের কারাদণ্ড হল পাকিস্তানের এক প্রাক্তন অধিনায়কেরর। নেদারল্যান্ডসের আদালত সোমবার খালিদ লতিফের সাজা ঘোষণা করেছে। সে দেশের চরমপন্থী নেতা গির্ট ওয়াইল্ডার্সকে খুনের হুমকি দেওয়ার অপরাধে সাজা হল লতিফের। পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটারের। ২০১০ সালের এশিয়ান গেমসে পাকিস্তানকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন লতিফ।
৩৭ বছরের প্রাক্তন ক্রিকেটার পাকিস্তানের বাসিন্দা। তিনি নেদারল্যান্ডসে থাকেন না। বিচার চলার সময় কখনও আদালতেও যাননি লতিফ। নেদারল্যান্ডসের পুলিশও তাঁকে কখনও গ্রেফতার করেনি। যদিও বিচারে তাঁর বিরুদ্ধে হত্যার ষড়যন্ত্র, রাষ্ট্রদ্রোহিতা, প্ররোচনা এবং হুমকি দেওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।
অভিযোগ, ২০১৮ সালে সমাজমাধ্যমে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছিলেন লতিফ। সেই ভিডিয়োর মাধ্যমে ওয়াইল্ডার্সকে হত্যার বার্তা ছড়িয়ে ছিলেন তিনি। তাতে লতিফ বলেছিলেন, নেদারল্যান্ডসের চরমপন্থী নেতাকে হত্যা করতে পারলে পুরস্কার দেবেন। ওয়াইল্ডার্সের একটি মন্তব্যে ক্ষুব্ধ হয়ে তাঁকে হত্যার হুমকি দিয়েছিলেন লতিফ। তাঁর বিরুদ্ধে নেদারল্যান্ডসে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। শুরু হয় বিচার। সেই বিচারে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন লতিফ। সাজার প্রসঙ্গে লতিফের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
ওয়াইল্ডার্স বলেছিলেন, তিনি নবী মহম্মদের ব্যঙ্গচিত্রের একটি প্রতিযোগিতা করতে চান। পরে সেই পরিকল্পনা বাতিল করেন তিনি। ওয়াইল্ডার্সের ওই মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেছিল মুসলিম সমাজ। সারা বিশ্বে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ নেদারল্যান্ডসের চরমপন্থী নেতার বক্তব্যকে তাঁদের ধর্মের প্রতি অবমাননা হিসাবে দেখেছিলেন।
লতিফের বিরুদ্ধে ম্যাচ গড়াপেটার অভিযোগও উঠেছিল। ২০১৭ সালে তাঁকে পাঁচ বছরের জন্য সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নির্বাসিত করা হয়। ২০১০ সালের এশিয়ান গেমসে পাকিস্তানকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন লতিফ। দেশের হয়ে পাঁচটি এক দিনের ম্যাচ এবং ১৩টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি।