প্রতীকী ছবি।
জ়িম্বাবোয়ের হয়ে টেস্ট খেলছেন গ্যারি ব্যালান্স। ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে জ়িম্বাবোয়ের প্রথম একাদশে রয়েছেন ইংল্যান্ডের হয়ে ২৩টি টেস্ট খেলা ব্যাটার। বিশ্বের ১৬তম ক্রিকেটার হিসাবে দু’দেশে হয়ে টেস্ট খেললেন ব্যালান্স।
গত জানুয়ারি মাসে ঘরের মাঠে আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে সীমিত ওভারের সিরিজ় খেলেছিল জ়িম্বাবোয়ে। সেই দলেও ছিলেন ব্যালান্স। ২০০৬ সালে জ়িম্বাবোয়ের হয়ে অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ খেলেন ব্যালান্স। পরে ইংল্যান্ডে পাকাপাকি ভাবে বসবাস শুরু করেন কাউন্টি ক্রিকেটে খেলার সুবাদে। নেন নাগরিকত্বও। ইয়র্কশায়ারের হয়ে ভাল পারফরম্যান্সের সুবাদে পান ইংল্যান্ডের জাতীয় দলে। ইংল্যান্ডের হয়ে ২৩টি টেস্ট এবং ১৬টি এক দিনের ম্যাচ খেলেছেন ৩৩ বছরের বাঁহাতি ব্যাটার। যদিও ২০১৭ সালের পর আর ইংল্যান্ডের হয়ে খেলার সুযোগ পাননি তিনি। ব্যালান্স হলেন দশম ক্রিকেটার যিনি ইংল্যান্ড ছাড়াও অন্য দেশের হয়ে টেস্ট খেলার নজির গড়লেন। অন্য দিকে, জ়িম্বাবোয়ের হয়ে টেস্ট খেলা দ্বিতীয় ক্রিকেটার যিনি দু’টি দেশের হয়ে টেস্ট খেললেন।
বিশ্বের ১৬তম ক্রিকেটার হিসাবে একাধিক দেশের হয়ে টেস্ট খেলার নজির গড়লেন ব্যালান্স। এই তালিকায় রয়েছেন চার ভারতীয়ও। ইফতিকার আলি খান পতৌদি ১৯৩২ থেকে ১৯৩৪ পর্যন্ত ইংল্যান্ডের হয়ে তিনটি টেস্ট খেলেছিলেন। পরে ১৯৪৬ সালে ভারতকেও তিনটি টেস্টে নেতৃত্ব দেন তিনি। আরও এক ভারতীয় ক্রিকেটার দু’দেশের হয়ে টেস্ট খেলেছিলেন। তিনি গুল মহম্মদ। ১৯৪৬ থেকে ১৯৫২ পর্যন্ত ভারতের হয়ে আটটি টেস্ট খেলেন তিনি। পাকিস্তানের নাগরিকত্ব নেওয়ার পর ১৯৫৫ সালে সে দেশের হয়ে একটি টেস্ট খেলেছিলেন। আবদুল হাফিজ কারদার ১৯৪৬ সালে ভারতের হয়ে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তিনটি টেস্ট খেলেছিলেন। প্রাক্তন বাঁহাতি অলরাউন্ডার ২৩টি টেস্ট খেলেছেন পাকিস্তানের হয়ে। পাকিস্তানকে নেতৃত্বও দিয়েছিলেন তিনি। আরও এক জন প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার দু’টি দেশের হয়ে টেস্ট খেলেছেন। তিনি আমির ইলাহি। ১৯৪৭ সালে ভারতের হয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে একটি টেস্ট খেলেছিলেন প্রাক্তন জোরে বোলার। পরে পাকিস্তানের হয়ে ১৯৫২-৫৩ মরসুমে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে পাঁচটি টেস্ট খেলেন তিনি। সেই ম্যাচগুলি আবার খেলেছিলেন লেগ স্পিনার হিসাবে।
এ ছাড়া বিলি মিডউইন্টার, উইলিয়াম লয়েড মারডক, জেজে ফেরিস, স্যামি উডস, অ্যালবার্ট ট্রট অস্ট্রেলিয়া এবং ইংল্যান্ডের হয়ে টেস্ট খেলেছিলেন। ইংল্যান্ড এবং দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে টেস্ট খেলার নজির রয়েছে দুই ক্রিকেটারের। তাঁরা হলেন ফ্রাঙ্ক হার্ন, ফ্রাঙ্ক মিচেল। স্যামি গুইলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ় এবং নিউ জ়িল্যান্ডের হয়ে, জন ট্রাইকস দক্ষিণ আফ্রিকা এবং জ়িম্বাবোয়ের হয়ে, কেপলার ওয়েসেলস অস্ট্রেলিয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে, বয়েড র্যাঙ্কিন ইংল্যান্ড এবং আয়ারল্যান্ডের হয়ে টেস্ট খেলেছেন।