রোহিত, কোহলিদের নির্বাচক কারা হতে পারেন? ফাইল ছবি
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পাঁচ দিন পরেই সবাইকে হতবাক করে গোটা নির্বাচক কমিটি ভেঙে দিয়েছে বিসিসিআই। বিজ্ঞপ্তি জারি করে চাওয়া হয়েছে পাঁচ জন নতুন নির্বাচক। তার পরেই নির্বাচক হওয়ার জন্যে আগ্রহ দেখিয়েছেন একাধিক প্রাক্তন ক্রিকেটার। তার মধ্যে রয়েছেন প্রাক্তন ক্রিকেটার নয়ন মোঙ্গিয়াও।
সূত্রের খবর, মোঙ্গিয়া ছাড়াও প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা আম্পায়ার লক্ষ্মণ শিবরামকৃষ্ণন এবং সলিল আঙ্কোলা নির্বাচক হতে চেয়ে আগ্রহ দেখিয়েছেন। তাঁরা আবেদনও করছেন। এক ওয়েবসাইটে মোঙ্গিয়া বলেছেন, “হ্যাঁ, আমি আবেদন করতে চলেছি। নির্বাচক কমিটিতে যাওয়ার ব্যাপারে আমি আগ্রহী।” ভারতের হয়ে ৪৪টি টেস্ট এবং ১৪০টি এক দিনের ম্যাচ খেলেছেন মোঙ্গিয়া। তিনি পশ্চিমাঞ্চল থেকে নির্বাচিত হতে পারেন।
পশ্চিমাঞ্চল থেকে আর এক দাবিদার হলেন আঙ্কোলা। তিনি এখন মুম্বই ক্রিকেট সংস্থার নির্বাচক পদে রয়েছেন। দেশের হয়ে ২০টি এক দিনের ম্যাচ এবং ৫৪টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। আবেদন গ্রাহ্য হলে দক্ষিণাঞ্চল থেকে নির্বাচিত হতে পারেন শিবরামকৃষ্ণন। তিনি দেশের হয়ে ৯টি টেস্ট এবং ১৬টি এক দিনের ম্যাচ খেলেছেন। এখনও পর্যন্ত এই তিন জনের নামই জানা গিয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে বোর্ডের ওয়েবসাইটে জাতীয় নির্বাচক চেয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। সেখানে লেখা হয়, পুরুষ ক্রিকেট দলের জন্যে পাঁচ জন জাতীয় নির্বাচক আহ্বান করা হচ্ছে। যোগ্যতা হিসাবে ভারতের হয়ে কমপক্ষে সাতটি টেস্ট ম্যাচ খেলা, বা ৩০টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলা ১০টি এক দিনের ম্যাচ এবং ২০টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলা প্রাক্তন ক্রিকেটারদের থেকে আবেদন চাওয়া হয়েছে। অন্তত পাঁচ বছর আগে অবসর নিয়েছেন এমন প্রার্থীরাই আবেদন করতে পারবেন। বোর্ডের কোনও ক্রিকেট কমিটিতে পাঁচ বছর কাটিয়েছেন, এ রকম কেউ আবেদন করতে পারবেন না। ২৮ নভেম্বর সন্ধে ৬টা পর্যন্ত আবেদন করা যাবে।
বিশ্বকাপের পরই যে নির্বাচক কমিটিতে বদল হতে চলেছে, এ কথা আগেই জানা গিয়েছিল। কিন্তু পুরো নির্বাচক কমিটিকে যে এ ভাবে ছেঁটে ফেলা হবে, এটা কেউই ভাবতে পারেননি। বোর্ডের এই সিদ্ধান্তে প্রশ্ন উঠে গেল ভারতীয় দলের কোচ রাহুল দ্রাবিড়ের মেয়াদ নিয়েও। তাঁকে ইদানীং ঘন ঘন ছুটিতে পাঠানো হচ্ছে, যা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রাক্তন কোচ রবি শাস্ত্রীও। দ্রাবিড়ের ভূমিকাও আতসকাচের তলায়।