সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। —ফাইল চিত্র।
মহেন্দ্র সিংহ ধোনির অভিষেক হয়েছিল ২০০৪ সালে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। কিন্তু তার আগে সেই বছরই পাকিস্তান সফরের জন্য ধোনির নাম তৎকালীন অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে বলেছিলেন সাবা করিম। তিনি সেই সময় ভারতীয় দলের নির্বাচক ছিলেন। কিন্তু সৌরভ তখনও পর্যন্ত ধোনির খেলা দেখেননি। তাই দলে নিতে রাজি ছিলেন না তিনি।
ভারতের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ধোনি। ২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছিলেন তিনি। ২০১১ সালে এক দিনের বিশ্বকাপও ভারত জিতেছিল ধোনির নেতৃত্বে। কিন্তু তরুণ ধোনিকে ভারতীয় দলে জায়গা পাওয়ার জন্য লড়তে হয়েছিল দীনেশ কার্তিকের সঙ্গে। প্রাক্তন নির্বাচক সাবা বলেন, “সে বার আমি কলকাতায় ছিলাম। সৌরভও সেই সময় কলকাতায়। আমি ওর সঙ্গে দেখা করি। সেই সময় আমি ধোনির কথা বলেছিলাম সৌরভকে। বলেছিলাম ধোনি ভারতীয় দলে খেলার যোগ্য। কিন্তু সৌরভ সেই সময় ধোনির খেলা দেখেনি। তাই পাকিস্তানে নিয়ে যাওয়া হয়নি ওকে। সেই বছরের শেষে বাংলাদেশে নিয়ে যাওয়া হয় ধোনিকে।”
সাবা করিম নিজেও উইকেটরক্ষক ছিলেন। তিনি ধোনিকে প্রথম দেখেন ঘরোয়া ক্রিকেটে। সাবা বলেন, “ধোনিকে আমি প্রথম দেখি যখন ও বিহারের হয়ে খেলছে। রঞ্জিতে সেটা ওর দ্বিতীয় বছর। ব্যাট করার সময় ওকে দেখে চমকে গিয়েছিলাম। পরবর্তী সময়ে সেই ব্যাটিং সারা বিশ্ব দেখেছে। উইকেটরক্ষকদের পায়ের মুভমেন্ট খুব গুরুত্বপূর্ণ। সেটা ধোনির সেই সময় একটু কম ছিল। সেই সময় ধোনিকে উইকেটরক্ষার দিকে বেশি নজর দিতে বলা হয়েছিল। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ধোনিকে ওপেন করানো হত। দ্রুত রান তুলতে পারত, সেই কারণেই ধোনিকে আগে ব্যাট করতে পাঠানো হত।”
সাবার মতে ধোনির জীবনের মোড় ঘুরে গিয়েছিল ভারত এ দলের হয়ে খেলতে গিয়ে। কার্তিক ভারতীয় দলের হয়ে খেলতে যাওয়ায় ধোনি সুযোগ পেয়েছিল। সাবা বলেন, “কেনিয়ায় গিয়ে ভারত এ এবং পাকিস্তান এ সেই দেশের সঙ্গে ত্রিপাক্ষিক সিরিজ় খেলেছিল। সেই সিরিজ়ে ধোনি ব্যাট হাতে নজর কাড়ে এবং সিনিয়র দলে জায়গা করে নেয়।”