এই মরসুমেই ঋদ্ধিমান সাহা বাংলা ছেড়েছেন। —ফাইল চিত্র
তাঁর ব্যাটে ভর করে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জিতেছিল ভারত। সেই দলের অধিনায়ক ছিলেন বিরাট কোহলী। আইপিএলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের হয়েও খেলেছিলেন বিরাটের সঙ্গে। কিন্তু বাংলা দলে এ বছর ৪১ জনের মধ্যে রাখা হয়নি তাঁকে। অভিমানে বাংলা ছাড়লেন শ্রীবৎস গোস্বামী।
৩৩ বছরের উইকেটরক্ষক ৫৫টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছেন। চারটি শতরান-সহ তাঁর ঝুলিতে ২৫৩৪ রান। লিস্ট এ-তে খেলেছেন ৯১টি ম্যাচ। করেছেন ৩১৮৫ রান। গত বছর বাংলার রঞ্জি দলে রাখা হয়নি তাঁকে। বাংলা যে শ্রীবৎসকে ভাবছে না তা এক প্রকার বুঝে গিয়েছেন উইকেটরক্ষক। এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শ্রীবৎস বলেন, “মরসুমের শুরুতে সম্ভাব্য দলেই রাখা হয়নি আমাকে। গত বছর আইপিএল খেলে আসার পর টি-টোয়েন্টি দল থেকে বাদ দেওয়ায় অবাক হয়েছিলাম। কারণ জিজ্ঞেস করলেও সে ভাবে উত্তর পাইনি। বুঝতে পারছিলাম যে বাংলা দলে আমাকে নিয়ে আর ভাবা হচ্ছে না।”
২০১৯-২০ মরসুমে রঞ্জিতে তিনটি অর্ধশতরান করেছিলেন শ্রীবৎস। কিন্তু ফাইনালে সৌরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে তাঁকে বাদ দেওয়া হয় ঋদ্ধিমান দলে আসায়। আইপিএলে ২০২১ সাল পর্যন্ত সানরাইজার্স হায়দরাবাদ দলে ছিলেন শ্রীবৎস। তিনি বলেন, “বাংলার হয়ে খেলছি ১৩ বছর হয়ে গেল। আমি শুধু পরিষ্কার উত্তর চেয়েছিলাম, পাইনি। সেটাই মনে হয় আমার জন্য ইঙ্গিত ছিল। তাই যখন মিজোরামের তরফে আমার কাছে খেলার প্রস্তাব আসে নিয়েনি। জানি এটা প্লেট গ্রুপের দল। কিন্তু আমার উপর কিছু দায়িত্ব আছে। আমার মধ্যে এখনও কিছুটা ক্রিকেট বেঁচে আছে। তাই খেলতে চাই।”
শ্রীবৎস বাংলা ছেড়ে মিজোরামে পাড়ি দিলেন। —ফাইল চিত্র
বাংলার ক্রিকেট সংস্থার (সিএবি) তরফে ছাড়পত্র চাইলে তা সঙ্গে সঙ্গেই পেয়ে যান বলে জানিয়েছেন শ্রীবৎস। মিজোরামের হয়ে খেলা নতুন পরীক্ষা বলে মনে করছেন তিনি। শ্রীবৎস বলেন, “প্রথম বার প্লেট গ্রুপের কোনও দলের হয়ে খেলব। মন খুলে খেলতে চাই। দলে যোগ দিয়ে প্রথমে পরিস্থিতিটা বুঝতে হবে। সেই অনুযায়ী কাজ করব। মিজোরামের ক্রিকেটারদের সাহায্য করার চেষ্টা করব।”
এই মরসুমেই ঋদ্ধিমান সাহা এবং সুদীপ চট্টোপাধ্যায় বাংলা ছেড়েছেন। তাঁরা ত্রিপুরাতে যোগ দিয়েছেন। এ বার শ্রীবৎসও বাংলা ছেড়ে মিজোরামে পাড়ি দিলেন।