বিরাট কোহলি। ছবি: পিটিআই।
বিশ্বকাপে ভারতের জয়ের ধারা অব্যাহত। পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে থাকা নিউ জ়িল্যান্ডকেও হারিয়ে দিল তারা। অষ্টমীর রাতে ধর্মশালায় পাঁচে পাঁচ করে ফেলল রোহিত শর্মার দল। নিউ জ়িল্যান্ডকে হারাল চার উইকেটে। কী কী কারণে জিতল ভারত? খুঁজে দেখল আনন্দবাজার অনলাইন।
১) মহম্মদ শামির দুরন্ত বোলিং। বিশ্বকাপে প্রথম চারটি ম্যাচে বসিয়ে রাখা হয়েছিল তাঁকে। কী রসায়ন মেনে সেটা ভারতের দল পরিচালন সমিতিই বলতে পারবে। বিশ্বকাপে নেমে প্রথম বলেই উইকেট নিয়ে নিজের দক্ষতা বুঝিয়ে দেন শামি। দিনের শেষে তাঁর নামের পাশে পাঁচটি উইকেট। আর হয়তো তাঁকে বাদ দেওয়ার সাহস দেখানো হবে না।
২) বিরাট কোহলির ঠান্ডা মাথার ইনিংস। বাংলাদেশের পর নিউ জ়িল্যান্ড। পুণের পর ধর্মশালা। ভারত যেখানেই বিশ্বকাপের ম্যাচ খেলতে যাক, কোহলির ব্যাট ছেড়ে কথা বলছে না কোনও প্রতিপক্ষকেই। বাংলাদেশের তুলনায় অনেক কঠিন পরিস্থিতিতে শতরান করলেন নিউ জ়িল্যান্ডের। একে তো হাতে বল ছিল না। উল্টো দিকে রবীন্দ্র জাডেজা বাদে কোনও ভাল সতীর্থ ছিল না। তাই অনেক হিসাব কষে খেলতে হয়েছে তাঁকে।
৩) রোহিতের ভাল শুরু করা। অস্ট্রেলিয়া বাদে বাকি ম্যাচগুলিতে রোহিত শর্মা ওপেন করতে নেমে শুরুটা এত ভাল করে দিচ্ছেন যে পরের দিকে গিয়ে চিন্তা করতে হচ্ছে না। জুটিতে মোটামুটি ১০০ রানের কাছাকাছি উঠে গেলে যে কোনও সময়েই রান তাড়া করা সহজ হয়। এ দিনও রোহিত ৪৬ রান করে গেলেন। শুভমন গিল, শ্রেয়স আয়াররা কম রানে ফিরে গেলেও ভারতকে চাপে পড়তে হয়নি।
৪) নিউ জ়িল্যান্ডের শেষ ১০ ওভারে খারাপ খেলা। মাত্র ৫৪ রান তোলে কিউয়িরা। ওই সময় রানের গতি বাড়িয়ে দিলে ভারত চাপে পড়তেই পারত। শতরান করার পর আচমকা স্ট্রাইক রেট কমে যায় ড্যারিল মিচেলের। সেটাও একটা কারণ। বুমরা, শামি, সিরাজ, কুলদীপেরা নিজেদের ওভারে ২, ৩ বা ৪ রান দিয়েছেন।
৫) কোহলি-জাডেজার ষষ্ঠ উইকেটের জুটি। ১৯১ রানের মাথায় সূর্যকুমার যাজব ফেরার সময় ভারতের ৮২ রান দরকার ছিল। সেই সময় কোহলি এবং জাডেজা বাদে আর কোনও জুটি হওয়ার সম্ভাবনা ছিল না। তাই দুই ক্রিকেটারকেই মাথা ঠান্ডা রেখে খেলতে হত। দু’জনে ঠিক সেটাই করেছেন। খুচরো রান নিয়ে স্কোরবোর্ড সচল রেখেছেন। কোনও তাড়াহুড়ো বা ঝুঁকি নিয়ে শট খেলতে চাননি।