Andrew Symonds

Andrew Symonds: পাঁচ কারণ: কেন সীমিত ওভারের ক্রিকেটে সাইমন্ডস অন্যতম সেরা

টেস্ট ক্রিকেটে নিজেকে সে ভাবে মেলে ধরতে পারেননি। কিন্তু এক দিনের ক্রিকেট, বা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে তিনি নিজের সময়ে অন্যতম সেরা ছিলেন। কেন? পাঁচটি কারণ খুঁজে বিশ্লেষণ করল আনন্দবাজার অনলাইন।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ মে ২০২২ ০৮:৩৪
Share:

অ্যান্ড্রু সাইমন্ডস ফাইল চিত্র

পর পর ধাক্কা অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটে। শেন ওয়ার্নের আকস্মিক প্রয়াণের পর তাঁর সতীর্থ অ্যান্ড্রু সাইমন্ডসের দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানো। রবিবার মাত্র ৪৬ বছর বয়সে গাড়ি দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন ক্রিকেটার।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাঁর নিজের সময়ে অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার ছিলেন সাইমন্ডস। পরিসংখ্যানের দিকে তাকালেই সেই তথ্য প্রমাণিত হবে। শুধু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটই নয়, আইপিএলেও সাইমন্ডসের পরিসংখ্যান উল্লেখযোগ্য। তাঁর অকাল প্রয়াণে আনন্দবাজার অনলাইন তুলে ধরল বেশ কিছু কীর্তি।

Advertisement

একদিনের ক্রিকেটে ৫০০০-এর উপর রান, ১০০-র বেশি উইকেট

১৯৯৮ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ১৯৮টি এক দিনের ম্যাচ খেলেছেন সাইমন্ডস। তিনি হাতে গোনা কয়েক জন ক্রিকেটারের মধ্যে পড়েন, এক দিনের ক্রিকেটে যাঁদের ৫০০০-এর উপর রান (৫০৮৮) এবং ১০০-র উপর উইকেট (১৩৩) রয়েছে।

Advertisement

দু’টি বিশ্বকাপ জয়

২০০৩ সালের বিশ্বকাপে সাইমন্ডসকে প্রথম চেনা যায়। সে বারই তিনি প্রথম নিজেকে মেলে ধরে। তার আগের পাঁচ বছর তাঁর খেলায় কোনও ধারাবাহিকতা ছিল না। বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচে কিছুটা অপ্রত্যাশিত ভাবেই সুযোগ পেয়েছিলেন। সেই ম্যাচে ১২৬ বলে অপরাজিত ১৪৩ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। বিশ্ব ক্রিকেটে সাইমন্ডসের আবির্ভাব সেই ইনিংসেই সূচিত হয়েছিল। ২০০৩ এবং ২০০৭ বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পিছনে সাইমন্ডসের ভূমিকা অনস্বীকার্য।

এক দিনের ক্রিকেটে তিন বার বিশ্ব দলে সুযোগ

আইসিসি প্রত্যেক বছর যে বর্ষসেরা দল তৈরি করে, সেখানে এক দিনের দলে তিন বার সুযোগ পেয়েছেন সাইমন্ডস। এর মধ্যে এক বার দ্বাদশ ব্যক্তি হিসেবে। এই দলে প্রথম নির্বাচিত হন ২০০৫ সালে। পরের বছর প্রথম একাদশে সুযোগ পাননি। কিন্তু তিনি ছিলেন দ্বাদশ ব্যক্তি। এর পর ২০০৮ সালে আবার বিশ্ব একাদশে জায়গা করে নেন তিনি।

২০ বছর ধরে বিশ্বরেকর্ডের মালিক

অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ঘরোয়া ক্রিকেটে খেললেও ইংল্যান্ডের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটেও ছাপ রেখেছিলেন সাইমন্ডস। ইংল্যান্ডের মাটিতেই তাঁর একটি বিশ্বরেকর্ড ২০ বছর ধরে অক্ষত ছিল। ১৯৯৫ সালে ইংল্যান্ডের ঘরোয়া ক্রিকেটে গ্লস্টারশায়ারের হয়ে একটি ম্যাচে এক ইনিংসে ১৬টি ছয় মেরেছিলেন সাইমন্ডস। সেই ম্যাচে অপরাজিত ২৫৪ রান করেছিলেন। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এক ইনিংসে সর্বাধিক ছয়ের বিশ্বরেকর্ড ছিল সেটি। ২০১৫ সালে নিউজিল্যান্ডের কলিন মুনরো অকল্যান্ডের হয়ে ইনিংসে ২৩টি ছয় মেরে সাইমন্ডসের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছিলেন।

প্রথম আইপিএলে সবথেকে দামি বিদেশি ক্রিকেটার

প্রথম আইপিএল শুরুর সময় হায়দরাবাদ (তৎকালীন ডেকান চার্জার্স) তাঁকে ১৩ লক্ষ ৫০ হাজার ডলার দিয়ে কিনেছিল। সে বার বিদেশিদের মধ্যে তাঁর দরই সব থেকে বেশি ছিল। তিন বছর হায়দরাবাদের হয়ে খেলেছিলেন সাইমন্ডস। ২০০৯ সালে হায়দরাবাদের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পিছনে সাইমন্ডসের বিরাট ভূমিকা ছিল। আইপিএলে মোট ৩৯টি ম্যাচে ৯৭৪ রান রয়েছে তাঁর, নিয়েছেন ২০টি উইকেট।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement