মেহেদি হাসান মিরাজ (বাঁ দিকে) ও মুশফিকুর রহিমের দাপটে বড় রান বাংলাদেশের। ছবি: এক্স।
রাওয়ালপিন্ডির উইকেট থেকে সাহায্য পাচ্ছেন না বোলারেরা। দুই দলের ব্যাটারেরাই দাপট দেখালেন। প্রথম চার দিনের খেলা দেখে মনে হচ্ছে, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে প্রথম টেস্ট ড্রয়ের দিকে এগোচ্ছে। পঞ্চম দিন বাংলাদেশের বোলারেরা দ্রুত উইকেট তুলতে না পারলে টেস্টের ফয়সালা হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম।
তৃতীয় দিনের শেষে পাকিস্তানের ৪৪৮ রানের জবাবে বাংলাদেশের রান ছিল ৫ উইকেটে ৩১৬। তারা পিছিয়ে ছিল ১৩২ রানে। ক্রিজ়ে ছিলেন মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস। চতুর্থ দিন জুটি গড়লেন তাঁরা। লিটন ৫৬ রান করে আউট হলেও মুশফিকুর শতরান করলেন।
টেস্টে নিজের ১১তম শতরান করেছেন মুশফিকুর। তার মধ্যে পাঁচটি বিদেশের মাটিতে। তিনিই বাংলাদেশের হয়ে বিদেশের মাটিতে সবচেয়ে বেশি শতরান করা ব্যাটার। এর আগে এই রেকর্ড যৌথভাবে ছিল মুশফিকুর ও তামিম ইকবালের দখলে। দু’জনেই চারটি করে শতরান করেছিলেন। শনিবার রাওয়ালপিন্ডিতে তামিমকে ছাপিয়ে গিয়েছেন মুশফিকুর। ২২টি চার ও একটি ছক্কা মারেন তিনি। মাত্র ৯ রানের জন্য দ্বিশতরান হাতছাড়া হয় মুশফিকুরের। ১৯১ রানে আউট হন তিনি।
বাংলাদেশের অলরাউন্ডার মেহেদি হাসান মিরাজ করেন ৭৭ রান। ১৪ বলে ২২ রানের ইনিংস খেলেন শোরিফুল ইসলাম। পাকিস্তানের রান ছাপিয়ে যায় বাংলাদেশ। ৫৬৫ রানে শেষ হয় তাদের প্রথম ইনিংস। ১১৭ রানের লিড নেয় তারা। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তানের রান ১ উইকেটে ২৩। এখনও বাংলাদেশের থেকে ৯৪ রান পিছিয়ে তারা।
ব্যাটারেরা বড় রান করলেও রান তোলার গতি কম ছিল দু’দলেরই। চতুর্থ দিন ২৭২ রান হয়েছে। মাত্র ৬ উইকেট পড়েছে। বাংলাদেশকে জিততে হলে পঞ্চম দিন প্রথম দুই সেশনের মধ্যে পাকিস্তানকে অলআউট করতে হবে। পিচের যা চরিত্র, তাতে এই কাজ খুব কঠিন। ব্যাটারদের মন্থর ব্যাটিং এই টেস্টকে ধীরে ধীরে ড্রয়ের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। এখন দেখার, পঞ্চম দিন খেলার ছবিতে কোনও বদল হয় কি না।