Uttarakhand

Death Threats: ক্রিকেটারকে খুনের হুমকি, এফআইআর করা হল রাজ্য ক্রিকেট সংস্থার সচিবের বিরুদ্ধে

আর্থিক নয়ছয়ের পর খুনের হুমকি। রাজ্য ক্রিকেট সংস্থার বিভিন্ন দুর্নীতি সামনে আসছে। দায়ের হল এফআইআর।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ জুন ২০২২ ১৫:৫৩
Share:

—প্রতীকী চিত্র

খুনের হুমকি দেওয়া হয় উত্তরাখণ্ডের অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেটার আর্য শেঠিকে। এমনটাই অভিযোগ তাঁর বাবা বীরেন্দ্র শেঠির। তিনি অভিযোগ করেছেন উত্তরাখণ্ড ক্রিকেট সংস্থার সচিব মাহিম বর্মা এবং আরও ছ’জনের বিরুদ্ধে।

Advertisement

২০ জুন, বসন্ত বিহার থানায় এফআইআর করেন বীরেন্দ্র। সেখানে তিনি কোচ মনীশ ঝা, ম্যানেজার নবনীত মিশ্র, ভিডিয়ো বিশ্লেষক পীযূষ রঘুবংশীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। আর্যর বাবার অভিযোগ, তাঁর ছেলেকে খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ, গত বছর ডিসেম্বরে বিজয় হজারে ট্রফির সময় রাজকোটে অনুশীলন করছিল উত্তরাখণ্ড। সেখানে আর্যকে কটূক্তি করেন কোচ। মারাও হয় তাঁকে। আর্য সেই সময় সচিবের কাছে অভিযোগ জানান। তাতে বিষয়টা আরও ভয়ঙ্কর হয়।

আর্যকে ঘরে ডেকে পাঠান কোচ। সেখানে তাঁকে খুনের হুমকি দেওয়া হয়। তাঁকে মারার জন্য পেশাদার খুনি নিযুক্ত করা হবে বলেও হুমকি দেন মনীশরা। আর্য বাড়ি ফেরার পর বীরেন্দ্র দেখা করেন মাহিমের সঙ্গে। সেখানে অভিযোগ শোনার বদলে মাহিম ১০ লক্ষ টাকা দাবি করেন বীরেন্দ্রর কাছে। তাঁকে বলা হয় এই টাকা দিলে আর্যর সামনে আর কোনও বাধা থাকবে না। এফআইআরে জানানো হয়েছে, বীরেন্দ্রকে হুমকি দিয়েছেন মাহিম। বসন্ত বিহার থানার পক্ষ থেকে বিনোদ সিংহ রানা বলেন, “এফআইআর নেওয়া হয়েছে। তদন্ত শুরু করা হয়েছে। সেই জন্য একটি দল গঠন করা হয়েছে। উত্তরাখণ্ড ক্রিকেট সংস্থাকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এখনও পর্যন্ত তাদের পক্ষ থেকে কোনও উত্তর আসেনি। আমরা জানতে পেরেছি যে সাত জনের মধ্যে দু’জন গ্রেফতারি এড়াতে ইতিমধ্যেই কোর্ট থেকে সুরক্ষা নিয়েছেন। যদিও পুলিশ তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করতেই পারে।”

Advertisement

প্রসঙ্গত, কিছু দিন আগে উত্তরাখণ্ড ক্রিকেট সংস্থার বিরুদ্ধেই আর্থিক নয়ছয়ের অভিযোগ উঠেছিল। ক্রিকেটাররা অভিযোগ করেছিলেন প্রতি দিন (ডিএ) মাত্র ১০০ টাকা দেওয়া হয় তাঁদের। এক সময় প্রতি দিন দেড় হাজার টাকা পেতেন তাঁরা। পরে সেটা কমে হাজার টাকা হয়। ফের এক সময় বাড়িয়ে সেটা দু’হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু গত এক বছর ধরে প্রতি দিন তাঁরা পাচ্ছেন মাত্র ১০০ টাকা। ১০০ দিনের কাজের কর্মীরা এর থেকে রোজ হিসাবে বেশি টাকা পান। খাবার কেনার জন্য ক্রিকেটাররা টাকা চাইলে এক কর্তা বলেন, “কেন বার বার এক প্রশ্ন করো? টাকা পেয়ে যাবে। এখন নিজেরা খাবার কিনে খাও।”

ক্রিকেটাররা টাকা না পেলেও ২০২১ সালের ৩১ মার্চ উত্তরাখণ্ড ক্রিকেট সংস্থার যে অডিট জমা দেওয়া হয়েছে, সেখানে দেখা যাচ্ছে প্রতিযোগিতা এবং অনুশীলনে খাবারের জন্য খরচ হয়েছে এক কোটি ৭৪ লক্ষ টাকার বেশি। ক্রিকেটারদের ডিএ বাবদ খরচ দেখানো হয়েছে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা। আরও খরচের মধ্যে দেখানো হয়েছে কলার দাম ৩৫ লক্ষ টাকা এবং জলের বোতলের জন্য খরচ ২২ লক্ষ টাকা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement