পরের বছর আইপিএল-এ যোগ দেবে আরও দু’টি দল। সোমবার সেই দুই দলের মালিকও ঠিক হয়ে গিয়েছে। লখনউয়ের ফ্রাঞ্চাইজি কিনেছেন কলকাতার সঞ্জীব গোয়েঙ্কা। আমদাবাদের ফ্রাঞ্চাইজি কিনেছেন সিভিসি ক্যাপিটালস। কে এই সিভিসি ক্যাপিটালস?
সিভিসি ক্যাপিটালস একটি বেসরকারি ঋণদানকারী সংস্থা। বিশ্ব ক্রীড়া জগতে খুব অপরিচিত নাম নয় তারা। ফর্মুলা ১, রাগবি, ফুটবলের পর এ বার ক্রিকেটেও ঢুকে পড়ল সিভিসি।
১৯৮১ সালে তৈরি হয় এই ঋণদানকারী সংস্থা। ইউরোপের লুক্সেমবার্গের সংস্থা এটি। এখন তাদের প্রধান দপ্তর লন্ডনে। বিশ্বের ৭৩টি সংস্থায় বিনিয়োগ রয়েছে সিভিসি-র।
সিভিসি-র মোট সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ৯ লক্ষ ৩৭ হাজার কোটি টাকা। আইপিএল-এর দল কেনার জন্য সিভিসি খরচ করেছে পাঁচ হাজার ৬২৫ কোটি টাকা।
সিভিসি আইপিএল-এর দল কেনার ফলে ইউরোপীয় ক্রীড়া জগতও বেশ নড়েচড়ে বসেছে। এক সর্বভারতীয় সংস্থার ধারণা ভারতীয় ক্রিকেটে বিনিয়োগ করে আমেরিকার ক্রিকেটে নিজেদের শক্তিশালী করতে চাইছে সিভিসি।
২০০৬ এবং ২০১৭ সালে ফর্মুলা ১-এ বিনিয়োগ করেছিল সিভিসি। মালিকানার বেশির ভাগ অংশই ছিল তাদের কাছে। আন্তর্জাতিক ভলিবল সংস্থার সঙ্গে যুক্ত হয়ে গত বছর ভলিবল ওয়ার্ল্ড নামক একটি প্রতিযোগিতা শুরু করেছিল সিভিসি।
ফুটবলের সঙ্গে যুক্ত সিভিসি। লা লিগার একটি দলের কিছু অংশ কিনেছে তারা। সেখানে প্রায় ২৪ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে সিভিসি।
ভারতে হেলথকেয়ার গ্লোবাল এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড এবং টেকনোলজির সঙ্গে যুক্ত সিভিসি।
২০২২ সালের আইপিএল-এ আমদাবাদ থেকে নতুন দল নিয়ে নামবে সিভিসি। এক লক্ষ ১০ হাজার মানুষ একসঙ্গে বসে খেলা দেখতে পারবে নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে। সেই মাঠকে নিজেদের ঘরের মাঠ করতে চলেছে সিভিসি।