আরশদীপ সিংহ। —ফাইল চিত্র।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট হলেই ডাক পড়ে আরশদীপ সিংহের। বিশ্বকাপ হোক বা দ্বিপাক্ষিক সিরিজ়— হতাশ করেন না বাঁহাতি জোরে বোলার। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচেও অন্যথা হয়নি। কোন মন্ত্রে বার বার সাফল্য পান? আরশদীপ নিজেই জানিয়েছেন সে কথা।
আরশদীপ ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবেন না। আবার অতীতে কী করেছেন, তাও মাথায় রাখতে চান না। বর্তমানে থাকতে পছন্দ করেন। দু’বছর আগে অভিষেক হওয়ার পর ৫৫টি টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে ফেলেছেন। ২৫ বছরের ক্রিকেটার বলেছেন, ‘‘প্রতিটি ম্যাচ উপভোগ করতে চাই। গত দু’বছর কেমন গিয়েছে, সেটা ভাবি না। সব সময় চেষ্টা করি বর্তমানে থাকার। খেলায় সাফল্য, ব্যর্থতা থাকবেই। তবু উপভোগ করার চেষ্টা করি। এটাই লক্ষ্য থাকে।’’
অতীত, ভবিষ্যৎ নিয়ে ভেবে নিজেকে চাপে ফেলতে পছন্দ করেন না আরশদীপ। পঞ্জাবের ক্রিকেটার বলেছেন, ‘‘আমার জীবনের মন্ত্র হল, বর্তমানকে উপভোগ করা। যেমন আজ আমার বিশ্রামের দিন। এই দিনটাও উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কালকের কথা কাল ভাবব। পরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এখনও দু’বছর দেরি। অনেক সময় আছে। এত আগে থেকে ভাবতে চাই না। ভবিষ্যৎ নিয়েও ভাবতে ভাল লাগে না।’’
আরশদীপকে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের বিশেষজ্ঞ বোলার হিসাবে বিবেচনা করা হয়। তিনি অবশ্য সব ধরনের ক্রিকেটই খেলতে চান। আরশদীপ বলেছেন, ‘‘তিন ধরনের ক্রিকেটেই নিজের সেরাটা দিতে চাই। যখন যেমন সুযোগ আসবে, কাজে লাগানোই লক্ষ্য থাকে। পরিস্থিতি এবং পরিবেশের সঙ্গে দ্রুত মানিয়ে নেওয়ার চ্যালেঞ্জ ভাল লাগে। তিন ধরনের ক্রিকেট খেলোয়াড়দের সার্বিক দক্ষতা প্রমাণের সুযোগ। চাপ সামলে ভিন্ন ভিন্ন পরিস্থিতিতে উইকেট নেওয়ার আলাদা মজা রয়েছে। ক্রিকেটের ধরন অনুযায়ী পরিকল্পনা পাল্টে যায়। এটা খেলোয়াড়দের শেখার একটা ভাল বিষয়। লাল বলের ক্রিকেটে যেমন অনেক বেশি ওভার বল করার সুযোগ থাকে। ধৈর্য্য ধরতে হয়। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে আবার ধৈর্য্যের কোনও ব্যাপার নেই। ব্যাটার কী করতে পারে, সেটা ভেবে বল করতে হয়।’’
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচের সাফল্যের পর দ্বিতীয় ম্যাচ নিয়েও আশাবাদী আরশদীপ। বেশ কিছু দিন পর খেলতে নামবেন দিল্লির মাঠে। পিচ, পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার চ্যালেঞ্জ থাকবে তাঁর সামনে।