মাঠে বোলারদের বাড়তি সুবিধা দেয় বলের পালিশ। এক দিকের পালিশ ধরে রাখতে রুটের পদ্ধতি শিখতেই পারেন রোহিত-কোহলিরা। —ফাইল চিত্র
ফিফার নিয়মে এখন বল পালিশ করার জন্য ব্যবহার করা যায় না থুতু, লালা। বাধ্য হয়ে কপালের ঘাম ও ট্রাউজ়ারই ভরসা ক্রিকেটারদের। লালা , থুতু ব্যবহার করতে না পারায় বলের এক দিকের পালিশ ধরে রাখতে সমস্যা হচ্ছে। ফলে স্পিন বা রিভার্স সুইংয়ে সমস্যা হচ্ছে। কিন্তু তার একটি উপায় বার করে ফেলেছেন ইংল্যান্ডের ক্রিকেটার জো রুট। বল পালিশ করার আরও একটি পদ্ধতি আবিষ্কার করে ফেলেছেন তিনি। বোলারের টাকে বল ঘষেছেন তিনি।
তা হলে কি এ বার বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মাদেরও টাক মাথায় মাঠে দেখা যাবে? একই পদ্ধতিতে কি বল পালিশ করার চেষ্টা করবেন তাঁরা? সাম্প্রতিক সময়ে আইসিসি প্রতিযোগিতায় ভারতীয় বোলারদের পারফরম্যান্স আহামরি নয়। এই নতুন পদ্ধতিতে বল পালিশ করলে কি তার থেকে বাড়তি সুবিধা পাবেন ভারতীয় বোলাররা।
রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টের তৃতীয় দিনে ঘটেছে এই ঘটনা। পাটা উইকেটে বলের সুইং, স্পিন কিছুই হচ্ছিল না। আরাম করে খেলছিলেন পাকিস্তানের ব্যাটাররা। এই পরিস্থিতিতে বলে রিভার্স সুইংয়ের জন্য এক অভিনব পদ্ধতি বার করে ফেলেন রুট। ইংল্যান্ড দলে বল পালিশ করার দায়িত্ব রুটের। ওভার শেষে তাঁকে দেখা যায় লিচের টুপি খুলে টাকে বল ঘষছেন। ভাল করে টাকের চারদিকে বল ঘষতে দেখা যায় তাঁকে। পাশেই দাঁড়িয়ে সেই ঘটনা দেখছিলেন জেমস অ্যান্ডারসন।
এই ঘটনা দেখে ধারাভাষ্য দিতে থাকা নাসের হুসেন হেসে গড়িয়ে পড়েন। তাঁর সঙ্গে থাকা বাকি ধারাভাষ্যকাররাও হাসতে থাকেন। শুধু নিজের টাকে বল ঘষে থেমে থাকেননি রুট। জার্সির হাতায় ভাল করে বল ঘষে একটি দিক পালিশ করার চেষ্টা করছিলেন তিনি।
রাওয়ালপিন্ডির উইকেটে এখনও পর্যন্ত দু’দলের সাত ব্যাটার শতরান করেছেন। ইংল্যান্ড প্রথম ইনিংসে করেছে ৬৫৭ রান। জ্যাক ক্রলি, বেন ডাকেট, অলি পোপ ও হ্যারি ব্রুক শতরান করেছেন। জবাবে পাকিস্তান প্রথম ইনিংসে করেছে ৫৭৯ রান। তাদের হয়ে শতরান করেছেন মহম্মদ শফিক, ইমাম উল হক ও বাবর আজ়ম। চতুর্থ দিনের চায়ের বিরতি পর্যন্ত ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংসের রান ৭ উইকেটে ২৬৪। পাকিস্তানের থেকে ৩৪২ রানে এগিয়ে ইংল্যান্ড।