শতরানের পরে উল্লাস জো রুটের। ছবি: এক্স।
শতরান করা জলভাতে পরিণত করেছেন জো রুট। ব্যাট হাতে নামলে তিন অঙ্কে না পৌঁছলে মাঠ ছাড়ছেন না তিনি। লর্ডসে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসের পরে দ্বিতীয় ইনিংসেও শতরান করেছেন রুট। তাঁর ব্যাটে ভর করে শ্রীলঙ্কার সামনে ৪৮৩ রানের লক্ষ্য দিয়েছে ইংল্যান্ড। তিন দিনেই জয়ের গন্ধ পেতে শুরু করেছে তারা।
প্রথম ইনিংসে রুট ও গাস অ্যাটকিনসনের শতরানে ভর করে ৪২৭ রান করেছিল ইংল্যান্ড। জবাবে শ্রীলঙ্কা প্রথম ইনিংসে ১৯৬ রানে অল আউট হয়ে যায়। প্রথম ইনিংসে ২৩১ রানের লিড পেয়েও ফলো অন করায়নি ইংল্যান্ড। দ্বিতীয় বার ব্যাট করতে নামে তারা। তৃতীয় দিনের শুরুতে ইংল্যান্ডের রান ছিল ১ উইকেটে ২৫। আরও এক বার ইংল্যান্ডের ইনিংস টানলেন রুট। চার নম্বরে ব্যাট করতে নেমে শেষ পর্যন্ত খেললেন তিনি। রুটকে সঙ্গ দেন হ্যারি ব্রুক। বাকিরা তেমন রান পাননি। দ্রুত রান করছিল ইংল্যান্ড। বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকায় দ্রুত খেলা শেষ করার লক্ষ্য ছিল তাদের।
দ্বিতীয় ইনিংসে দ্রুত ব্যাট করেন রুটও। ১২১ বলে ১০৩ রান করেন তিনি। লর্ডসের মাটিতে দুই ইনিংসে শতরান করার নজির গড়লেন তিনি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজের ৫০তম শতরান করলেন তিনি। রুটের ব্যাটে ভর করে দ্বিতীয় ইনিংসে ২৫১ রানে অল আউট হয় ইংল্যান্ড। শ্রীলঙ্কার সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৪৮৩ রান।
শ্রীলঙ্কার দ্বিতীয় ইনিংসেও শুরুটা ভাল হয়নি। ওপেনাপ নিশান মদুষ্কা ও তিন নম্বরে নামা পাথুম নিশঙ্ক রান পাননি। দিমুথ করুণারত্নে ও প্রবাথ জয়সূর্য জুটি গড়ার চেষ্টা করেন। তৃতীয় দিন ইংল্যান্ডকে হার থেকে বাঁচায় বৃষ্টি। শ্রীলঙ্কার রান যখন ২০ ওভারে ২ উইকেটে ৫৩, তখন বৃষ্টি শুরু হয়। আর থামেনি। ফলে খেলা শুরু করা যায়নি।
দ্বিতীয় টেস্ট জিততে হলে ৮ উইকেট নিতে হবে ইংল্যান্ডকে। শ্রীলঙ্কার জিততে দরকার ৪৩০ রান। যা পরিস্থিতি, তাতে ইংল্যান্ডের পাল্লা অনেকটাই ভারী। বৃষ্টি হওয়ায় পরিবেশ পেসারদের সুবিধা দিচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে চতুর্থ দিন লর্ডসের উইকেটে ইংল্যান্ডের পেসারদের সামনে শ্রীলঙ্কার ব্যাটারেরা কত ক্ষণ লড়াই করতে পারেন সেটাই দেখার।