অস্ট্রেলিয়ার স্কট বোল্যান্ডের (ছবিতে নেই) বলে রিভার্স স্কুপ মারছেন ইংল্যান্ডের জো রুট। ছবি: পিটিআই
তৃতীয় দিন বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হওয়ার আগে অস্ট্রেলিয়ার বোলিং দেখে মনে হচ্ছিল দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে সমস্যায় পড়তে পারে ইংল্যান্ড। কিন্তু চতুর্থ দিনের প্রথম সেশনে আবার বাজ়বল খেলল ইংল্যান্ড। মাত্র এক সেশনে উঠল ১২৭ রান। ওভার প্রতি ৪.৭৯ রান করলেন ইংল্যান্ডের ব্যাটাররা। চতুর্থ দিন মধ্যাহ্নভোজের বিরতিতে ইংল্যান্ডের রান ৫ উইকেটে ১৫৫। অস্ট্রেলিয়ার থেকে ১৬২ রান এগিয়ে বেন স্টোকসরা। বৃষ্টিতে প্রায় একটা গোটা দিনের খেলা নষ্ট হলেও ইংল্যান্ড যে জয় ছাড়া কিছু ভাবছে না সেটা তাদের ব্যাটিংয়ে পরিষ্কার।
দিনের প্রথম বলটাই রিভার্স স্কুপ মারার চেষ্টা করেছিলেন জো রুট। দেখে অবাক হয়ে যান অস্ট্রেলিয়ার বোলাররা। কয়েক ওভার পরে আবার রিভার্স স্কুপ রুটের। তাও এক জোড়া। এ বার বোলারের নাম স্কট বোল্যান্ড। একটি বল গিয়ে পড়ল বাউন্ডারির বাইরে। অন্য বলটি গড়িয়ে বাউন্ডারির বাইরে গেল। প্রথম থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং শুরু করেন ইংল্যান্ডের দুই ব্যাটার রুট ও ওলি পোপ। যদিও বেশি ক্ষণ টিকতে পারেননি পোপ। ১৪ রান করে প্যাট কামিন্সের ইয়র্কারে বোল্ড হন।
উইকেট পড়লেও খেলার ধরন বদলায়নি ইংল্যান্ডের। যে নীতিতে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করেছিলেন, সেই একই নীতিতে দ্বিতীয় ইনিংসে খেলছেন তাঁরা। যে করেই হোক স্কোরবোর্ড সচল রাখতে হবে। বড় শট না মারতে পারলে সিঙ্গল-ডাবলসে রান করতে হবে। সেটাই করলেন রুটরা। তাঁকে যোগ্য সঙ্গে দিলেন হ্যারি ব্রুক। প্রথম ইনিংসে দুর্ভাগ্যজনক ভাবে আউট হলেও দ্বিতীয় ইনিংসে ভাল ব্যাট করছিলেন এই মিডল অর্ডার ব্যাটার।
নিজের অর্ধশতরানের দিকে এগোচ্ছিলেন রুট। কিন্তু ৪৬ রানের মাথায় নেথান লায়নের বলে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে বড় শট মারতে গিয়ে স্টাম্প আউট হলেন তিনি। রুট আউট হওয়ার পরে অবশ্য রানের গতি কিছুটা কমে ইংল্যান্ডের। অধিনায়ক বেন স্টোকস সময় নিচ্ছিলেন। ফলে রান তোলার দায়িত্ব ছিল ব্রুকের কাঁধে। ৪৬ রান করে লায়নের বলে আউট হয়ে যান ব্রুক।
ইংল্যান্ডের ব্যাটারদের সমস্যায় ফেললেন লায়ন। পেসারদের বিরুদ্ধে দ্রুত রান উঠলেও লায়ন যেমন উইকেট নিলেন তেমনই রানও আটকে রাখলেন। কয়েকটি বল ঘুরছিল। কয়েকটি বল আবার নিচু হচ্ছিল। ফলে শট খেলতে সমস্যায় পড়ছিলেন ব্যাটাররা। খেলা এখন যে পরিস্থিতিতে রয়েছে তাতে দু’টি দলেরই জেতার সুযোগ রয়েছে। প্রায় একটা গোটা দিন বৃষ্টিতে ভেস্তে গেলেও সেটা সম্ভব হয়েছে ইংল্যান্ডের বাজ়বল ব্যাটিংয়ের জন্যই।