বেন স্টোকস। ছবি: পিটিআই।
বৃহস্পতিবার থেকে শুরু ভারত বনাম ইংল্যান্ড প্রথম টেস্ট। তার আগে দুই শিবির উত্তপ্ত ইংরেজ বোলার শোয়েব বশিরের ভিসা বাতিল প্রসঙ্গে। আগেই স্টোকস জানিয়েছিলেন, তিনি ভিসা বাতিলে অখুশি। বুধবার বোমা ফাটালেন ইংরেজ অধিনায়ক। জানালেন, শোয়েবের ভিসা না হওয়া পর্যন্ত ভারতে আসতেই চাননি তিনি। তবে ইংল্যান্ডের প্রথম টেস্ট বয়কট করার কোনও ভাবনাচিন্তা ছিল না বলেই জানিয়েছেন।
বশিরের সঙ্গে যে ব্যবহার করা হয়েছে তার প্রতিবাদ করেছেন স্টোকস। পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত ২০ বছরের ইংরেজ বোলারের ভিসা বাতিল করেছে ভারত। বুধবার সে প্রসঙ্গে স্টোকস বললেন, “আবু ধাবিতে থাকার সময় প্রথম যখন খবরটা শুনি, আমি দলকে বলেছিলাম যে ও ভিসা না পাওয়া পর্যন্ত আমাদের ভারতে যাওয়াই উচিত নয়। তবে সেটা বড্ড বাড়াবাড়ি হয়ে যেত।”
স্টোকসের সংযোজন, “ভারতে না এলে সেটা নিয়ে সমস্যা তৈরি হত। হয়তো আমি আবেগ ধরে রাখতে না পেরে এমন কিছু বলে দিয়েছিলাম। কিন্তু ভারতে না আসার কোনও ইচ্ছে আমাদের মধ্যে ছিল না। ব্যাশের (বশির) প্রতি পূর্ণ সমর্থন রয়েছে আমাদের। ব্যাশকে এই পরিস্থিতির মধ্যে যেতে হচ্ছে দেখে আমি বিধ্বস্ত। যখন কোনও সতীর্থ এ রকম পরিস্থিতির মধ্যে যায়, তখন নেতা এবং অধিনায়ক হিসাবে যে কেউ আবেগপ্রবণ হবেই।”
আগের দিন তিনি বলেছিলেন, “অধিনায়ক হিসাবে এমন ঘটনার সম্মুখীন হয়ে আমি হতাশ। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি আমরা দল ঘোষণা করেছি। এখন এসে বশির জানতে পারছে যে ও ভিসা না পাওয়ার কারণে ভারতে খেলতে আসতে পারবে না। ওর জন্য আমি হতাশ। এমন ঘটনা তৈরি হওয়াই বাঞ্ছনীয় নয়। আমি জানি ইংল্যান্ডের হয়ে খেলার সুযোগ পাওয়া কত কঠিন। বশিরের জন্য আমার খারাপ লাগছে। বুঝতে পারছি কোন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে ও যাচ্ছে।”
স্টোকস আরও জানিয়েছিলেন যে, বশির প্রথম নন। এর আগেও এমন ঘটেছে। ইংরেজ অধিনায়ক বলেন, “বশির প্রথম নয় যাঁকে এমন পরিস্থিতির মুখে পড়তে হয়েছে। অনেক ক্রিকেটারকে এই সমস্যার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে। আমি তাঁদের সঙ্গে খেলেছি। আমার একটা জিনিসেই হতাশ লাগছে যে, বশিরকে দলে নিলাম আমরা কিন্তু ভিসা সমস্যায় ও আসতে পারল না। তরুণ ক্রিকেটারদের সঙ্গে এমন হলে খারাপ লাগে। আমি খুবই হতাশ ওর জন্য।”