রোহিত শর্মা। ছবি: পিটিআই।
ইংরেজ ক্রিকেটার শোয়েব বশিরকে ভিসা দেয়নি ভারত। এই নিয়ে ভারত সরকারকে কড়া বার্তা দিয়েছে ব্রিটিশ সরকার। সেই বিবৃতির পরে পাল্টা দিলেন রোহিত শর্মাও। জানালেন, কোনও ক্রিকেটার যদি ভিসা সমস্যায় ভারতে আসতে না পারেন তা হলে তাঁদের কিছু করার নেই।
২০ বছরের বশির পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত বলেই নাকি তাঁকে ভিসা দেওয়া হয়নি। এমনই অভিযোগ করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম। ভিসা না পাওয়ায় তিনি প্রথম টেস্টে খেলতে পারবেন না।
বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে রোহিত বলেন, “শোয়েব বশিরের জন্য আমার খারাপ লাগছে। দুর্ভাগ্যবশত, আমি তো ভিসা দফতরে গিয়ে বসি না। তাই এর থেকে বেশি তথ্য দেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব নয়। আশা করি দ্রুত ও ভিসা পাবে এবং আমাদের দেশে এসে উপভোগ করতে পারবে।”
টেস্ট সিরিজ় খেলতে আবু ধাবি থেকে ভারতে এসেছে ইংল্যান্ড দল। টেস্ট শুরু বৃহস্পতিবার থেকে। কিন্তু দলের সঙ্গে আসতে পারেননি বশির। এর পরেই ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনকের সরকারের তরফে একটি বার্তা দেওয়া হয়। সেখানে বলা হয়, “আশা করব ভিসার ক্ষেত্রে সব ব্রিটিশ নাগরিকের সঙ্গে সমান ব্যবহার করবে ভারত। এর আগেও পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিকদের ভিসা পাওয়া নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়েছে। তেমন কেউ ভারতে যাওয়ার ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়েছেন। লন্ডনে ভারতীয় দূতাবাসে সেটা জানানো হয়েছে।”
অসন্তুষ্ট ইংরেজ অধিনায়ক বেন স্টোকসও। এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “অধিনায়ক হিসাবে এমন ঘটনার সম্মুখীন হয়ে আমি হতাশ। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি আমরা দল ঘোষণা করেছি। এখন এসে বশির জানতে পারছে যে ও ভিসা না পাওয়ার কারণে ভারতে খেলতে আসতে পারবে না। ওর জন্য আমি হতাশ। এমন ঘটনা তৈরি হওয়াই অবাঞ্ছনীয়। আমি জানি ইংল্যান্ডের হয়ে খেলার সুযোগ পাওয়া কত কঠিন। বশিরের জন্য আমার খারাপ লাগছে। বুঝতে পারছি কোন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে ও যাচ্ছে।”
স্টোকস জানান যে, বশির প্রথম নন। এর আগেও এমন ঘটেছে। ইংরেজ অধিনায়ক বলেন, “বশির প্রথম নন, যাঁকে এমন পরিস্থিতির মুখে পড়তে হয়েছে। অনেক ক্রিকেটারকে এই সমস্যার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে। আমি তাঁদের সঙ্গে খেলেছি। আমার একটা জিনিসেই হতাশ লাগছে যে, বশিরকে দলে নিলাম আমরা কিন্তু ভিসা সমস্যায় ও আসতে পারল না। তরুণ ক্রিকেটারদের সঙ্গে এমন হলে খারাপ লাগে। আমি খুবই হতাশ ওর জন্য।”
আবু ধাবিতে প্রস্তুতি শিবির করে ভারতের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ় খেলতে এসেছে ইংল্যান্ড। ইংল্যান্ড শিবির সূত্রে জানা গিয়েছে, ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে দেরি করেছিলেন বশির। সে জন্যই দলের বাকিদের সঙ্গে তিনি ভারতের ভিসা পাননি। বশিরের জন্ম ইংল্যান্ডের সারেতে হলেও তিনি পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত। ইংল্যান্ড দলে রেহান আহমেদ রয়েছেন তিনিও পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত। কিন্তু বিশ্বকাপের সময় ভিসা নিয়েছিলেন তিনি। তাই এখন সমস্যা হয়নি তাঁর।