শাকিব আল হাসান। —ফাইল চিত্র।
গত বারের আইপিএলে বাংলাদেশের তিন ক্রিকেটার সুযোগ পেয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে শাকিব আল হাসান এবং লিটন দাসকে কিনেছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। মুস্তাফিজুর রহমান ছিলেন দিল্লি ক্যাপিটালস দলে। এই তিন ক্রিকেটারকেই ছেড়ে দিল আইপিএলের দুই দল। তাই নিলামের আগে আইপিএলে নেই বাংলাদেশের কোনও ক্রিকেটারই।
গত বারের নিলামে শাকিবকে দেড় কোটি টাকা দিয়ে কিনেছিল কলকাতা। লিটনকে কিনতে খরচ হয়েছিল ৫০ লক্ষ টাকা। কিন্তু শাকিব গত বার আইপিএল খেলতেই আসেননি। দেশের হয়ে খেলতে ব্যস্ত ছিলেন তিনি। মাঝে যে সময় দেশের হয়ে খেলা ছিল না, সেই সময় ব্যক্তিগত কারণে আইপিএল খেলতে আসেননি শাকিব। তাঁর বদলে জেসন রয়কে দলে নেয় কেকেআর। লিটনও আইপিএলে প্রথম দিকে খেলতে আসেননি। পরে এলেও এক মাসও থাকেননি। তার মধ্যে একটি ম্যাচ খেলেছিলেন। তাতে খুব একটা ছাপও ফেলতে পারেননি। তাই তাঁর বদলে জনসন চার্লসকে দলে নিয়েছিল কেকেআর।
বাংলাদেশের দুই ক্রিকেটারের এমন ব্যবহার গত আইপিএলেই প্রশ্ন তুলেছিল। এমন অবস্থায় এই বারের নিলামের আগে দিল্লি ছেড়ে দিল মুস্তাফিজুরকে। ফলে বাংলাদেশের কোনও ক্রিকেটারেরই আইপিএলে দল নেই। নিলামে অবশ্য বাংলাদেশের কোনও ক্রিকেটারকে কিনতেই পারে কোনও দল। কিন্তু যদি বাংলাদেশের কোনও ক্রিকেটারকে নিলামে কেনা না হয়, তাহলে সে দেশের কোনও ক্রিকেটারকেই আইপিএলে খেলতে দেখা যাবে না।
এ বারে বাংলাদেশের সব ক্রিকেটারকে ছেড়ে দেওয়া দেখে আরও এক বার অনেকের মনে সেই পুরনো প্রশ্ন মনে জাগতে শুরু করেছে। শাকিবদের আইপিএলে খেলতে না আসা দেখে সব দলই কি বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের ব্রাত্য করে দিলেন? সেটা পরিষ্কার হবে ১৯ ডিসেম্বর আইপিএলের নিলামের পর।